কলকাতা: মাদককাণ্ডে গ্রেফতার বিজেপি যুব মোর্চা সম্পাদককে আনা হল আদালতে । কোর্ট লক-আপে বিস্ফোরক অভিযোগ পামেলা গোস্বামীর। চক্রান্ত করে ফাঁসানোর অভিযোগ পামেলার। তাঁর অভিযোগ বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে। রাকেশ সিং কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ঠ, দাবি পামেলার I ঘটনার সিআইডি তদন্ত হোক, গ্রেফতার করা হোক রাকেশকে, দাবি পামেলার। 

শুক্রবার নিউ আলিপুরে মাদক-সহ হাতেনাতে পাকড়াও হন রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার সম্পাদক। গ্রেফতার হন তাঁর সঙ্গী বিজেপির যুব নেতা প্রবীর কুমার দে এক বিজেপি নেতা এবং নিরাপত্তারক্ষী। ধৃতদের কাছ থেকে ৯০ গ্রাম কোকেন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
পুলিশ সূত্রে দাবি, তাঁদের কাছে খবর ছিল দীর্ঘদিন ধরেই পামেলা ও প্রবীর নিউ আলিপুরে আসতেন এবং মোটরবাইকে করে এসে কয়েকজন তাঁদের কাছ থেকে কিছু নিয়ে যেতেন। এইভাবে মাদক পাচারের সন্দেহে, এদিন নিউ আলিপুরের N R অ্যাভিনিউতে ওঁত পেতে ছিল পুলিশ। তৈরি ছিল পুলিশের আটটি গাড়ি। ছিলেন নিউ আলিপুর থানার ওসিও। যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় এই রাস্তায়। একটি কফিশপের সামনে সঙ্গীকে নিয়ে বিজেপির যুব নেত্রী পামেলা আসতেই তাঁদের ধরে ফেলে পুলিশ।


পুলিশ সূত্রে দাবি, তাঁর ব্যাগ থেকে ও গাড়ির সিটের তলা থেকে মাদকের পাউচ মেলে। এই গ্রেফতারির নেপথ্যে রাজনীতি রয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। তাঁকে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির যুব মোর্চার নেত্রী। ধরা পড়ার পর তাঁর গলায় শোনা গেছে ভারত মাতা কী জয়! ধরা পড়ে পামেলা বলেন, ভোটের আগে ফাঁসানো হয়েছে। ভারত মাতা কী জয়। 
এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ওদের কাছেই কোকেন ছিল কিনা দেখতে হবে, দোষী হলে আইন আইনের পথে চলবে, এখনও মডেল কোড অফ কনডাক্ট লাগু হয়নি, ফলে রাজ্য সরকারই পুলিশকে চালাচ্ছে, রাজনীতি থাকতেই পারে। 


পাল্টা সমালোচনায় সরব হয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, '' আগেও বাচ্চা পাচার করতে দেখা গেছে, লজ্জা লাগছে মহিলা হিসেবে, বিকারগ্রস্ত তাই চক্রান্ত দেখে।''


পুলিশ সূত্রে খবর, পামেলা ও প্রবীরের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক।  একসঙ্গে রাজনীতির পাশাপাশি নিউটাউনে একটি বিউটি পার্লার চালাতেন তাঁরা। কোথা থেকে মাদক আসত, আর কাদের পাচার করা হত, সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে।