সন্দীপ সরকার, কলকাতা: গবাদি পশুকে ভ্যাকসিন (Vaccine) দেওয়ার সময় ইঞ্জেকশনের (Injection)  সূচ ফুটে এই বিপত্তি। রাজ্যে ব্রুসেলোসিসে (Brucellosis) আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৬ জন। গতকাল কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে প্রায় ১০০ জন এসেছিলেন বিভিন্ন রকম উপসর্গ নিয়ে। তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। নমুনা (Sample) সংগ্রহ হয়েছে ৩০ জনের।


এক লাথিতে বিপত্তি। গবাদি পশুর ভ্যাকসিনেশনের সময় ইঞ্জেকশনের (Injection) সূচ ফুটে বিপত্তি। ব্রুসেলোসিস রোগে আক্রান্ত বেশ কয়েকজন।  ব্রুসেলা (Brucella) নামে ব্যাকটেরিয়া (Bacteria) থেকে ব্রুসেলোসিস ছড়ায়। এই রোগে মূলত আক্রান্ত হয় গবাদি পশু।  ২০ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর ব্রুসেলার ভ্যাকসিনেশন চলে রাজ্যে।  সেই ভ্যাকসিন দিতে গিয়ে প্রাণিবন্ধু, প্রাণিসেবী, প্রাণিমিত্র, কৃত্রিম প্রজনন কর্মীদের মধ্যে কারও ক্ষেত্রে সিরিঞ্জ ভেঙে শরীরে ঢুকে গেছে। কারও সিরিঞ্জ থেকে ভ্যাকসিন ছিটকে নাকে, চোখে, মুখে লেগেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে গবাদি পশুর ছটফটানি এবং লাথির চোটে।


ব্রুসেলোসিসের উপসর্গ রয়েছে, এই সন্দেহে প্রায় ১০০ জন শুক্রবার এসেছিলেন কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে (Calcutta School Of Tropical Medicine)। অনেকের অভিযোগ, কোনওরকম প্রশিক্ষণ ছাড়া এই ভ্যাকসিন  দিতে তাঁদের বাধ্য করা হয়েছে।  আবার কারও অভিযোগ, তাঁদের উপযুক্ত সরঞ্জাম দেওয়া হয়নি।  ব্রুসেলোসিসের উপসর্গ কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, দুর্বলতা, পেশিতে ব্যথা, শিরদাঁড়ায় ব্যথা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা।


সূত্রের খবর, ট্রপিক্যালে  বলে দেওয়া হয়, একদিনে ৩০ জনের বেশি নমুনা নেওয়া সম্ভব নয়।  যাঁদের উপসর্গ দেখা গেছে, তাঁদের ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।  ৫ জনের গুরুতর উপসর্গ থাকায় ভর্তি নেওয়া হয়েছে তাঁদের।  নতুন করে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে ৬ জনের। তাঁদের মধ্যে মুর্শিদাবাদের ২ জন। আলিপুরদুয়ারের ২ জন,  বাঁকুড়ার ১ জন ও হুগলির ১ জন বাসিন্দা রয়েছেন।  যাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, তাঁদের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এর আগে তিনজনে রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল।