কলকাতা:  লাগাতার জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ সকালে নাগরবাজারে বিক্ষোভ দেখাল একটি বাস মালিক সংগঠন। 


ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা কেন্দ্রের কাছে ডিজেলের দাম কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। 


সেইসঙ্গে সংগঠনের সদস্যদের দাবি, তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও অনুরোধ করবেন, যাতে এই পরিস্থিতিতে বাসভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি রাজ্য সরকার বিবেচনা করে।


সর্বনাশা রেকর্ড গড়ে বঙ্গে ধীরে ধীরে ১০০টাকার দিকে এগোচ্ছে পেট্রোল। ডিজেলের দামও ৯০ টাকা ছুঁইছুঁই। সোমবার, কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ২৬ পয়সা এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ২৭ পয়সা বাড়ে। ফলে পেট্রোলের দাম লিটারে ৯৫ টাকা ২৮ পয়সা। ডিজেলের দাম লিটারে ৮৯ টাকা ৭ পয়সা। 


এই পরিস্থিতিতে পেট্রোপণ্যের ওপর নির্ভরতা ধীরে ধীরে কমানোর পথে হাঁটতে চাইছে রাজ্য সরকার। পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ইলেকট্রিকের ব্যবহার বাড়াতে হবে। পেট্রোল-ডিজেল যত কমানো যায়। 


সোমবার পরিবহণ দফতরে একাধিক বাস ও ট্রাক মালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। কলকাতার ডিজেলে চলা সরকারি বাসগুলিকে কীভাবে ইলেকট্রিক বাসে রূপান্তরিত করা যায়, তা নিয়ে পর্যালোচনার জন্য গঠিত হয়েছে কমিটি।  


বৈঠকে নতুন মেট্রো স্টেশনগুলির কাছাকাছি নতুন অটো রুট চালু করা নিয়েও আলোচনা হয়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি, ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন তৈরির বিষয়টিও দেখছে পরিবহণ দফতর। 


মুম্বই-সহ দেশের ৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় আগেই সেঞ্চুরি পার করেছে পেট্রোলের দাম। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ওরা শুধু ব্যবসা বোঝে।


ডিজেলের দাম লাগাতার বাড়া মানে, সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়া। আর তাই বাজারে গিয়েও ছ্যাঁকা খাচ্ছে মধ্যবিত্ত। 


একদিকে করোনা সঙ্কট, অন্যদিকে পেট্রেপণ্যের দাম বাড়ার জেরে, সব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি। জোড়া ফলায় বিদ্ধ সাধারণ মানুষ।


এদিকে, অভিনব উপায়ে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানালেন হুগলির চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। 


আজ সকালে খাদিনা মোড়ে জিটি রোডে একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানান তিনি। পরে গরুর গাড়িতে চড়ে জিটি রোডে বেশ কিছুটা যান তিনি।  সঙ্গে ছিল একটি পালকিও।