সৌভিক মজুমদার ও জয়ন্ত পাল, কলকাতা: দমদম পার্ক ভারতচক্রের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় এখনই হস্তক্ষেপ নয়। জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি কৌশিক চন্দ বলেন, সোশাল মিডিয়ার রিপোর্টের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ করবে না আদালত।


দমদম পার্ক ভারতচক্রের পুজোয় আপাতত হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট। সোশাল মিডিয়ার রিপোর্টের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নয় বলে  জানাল আদালত।


এবছর দমদম পার্ক ভারতচক্রের পুজোর থিম কৃষক আন্দোলন। যা ফুটিয়ে তুলতে প্যান্ডেলের একাংশে করা হয়েছে জুতোর ইনস্টলেশন। আর পুজোর মুখে এই নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক!


ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানান, মামলাকারী নিজে গিয়ে মণ্ডপ দেখেননি। সোশাল মিডিয়ায় রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেন। সোশাল মিডিয়ার রিপোর্টের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ করবে না আদালত।


বিচারপতি আরও জানান, ২৫ অক্টোবর এ নিয়ে রিপোর্ট জমা দেবে পুলিশ। তারপরেই এ নিয়ে পদক্ষেপ করবে আদালত।


দমদম পার্ক ভারতচক্রের সম্পাদক  প্রতীক চৌধুরী বলেছেন, মানুষ যাতে ঠাকুর দেখতে পারেন সেটারই রায় দিয়েছে আদালত। এই জয় শুধু আমার নয়, সমস্ত ক্লাব সদস্য থেকে শুরু করে আমাদের আশেপাশে যে সমস্ত ক্লাব আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল তাদেরও।


বিতর্ক থাকলেও দমদম পার্ক ভারতচক্রের মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড়ে কোনও খামতি নেই।


মোদি সরকারের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এক বছরের উপর আন্দোলন চালিয়ে আসছেন উত্তর ভারতের কৃষকরা। তা ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে দেশের নানা প্রান্তে নানা ইস্যুতে আন্দোলনে সামিল হতে দেখা গেছে কৃষকদের। নিজেদের দাবি-দাওয়া আদায় করতে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হেঁটে কত কৃষক যে তাঁদের চটি-জুতো ছিড়েছেন, তার কোনও হিসেব নেই। ২১তম বর্ষে কৃষকদের সেই সমস্ত আন্দোলনকেই, থিম হিসেবে বেছে নিয়েছে দমদমপার্ক ভারতচক্র। প্যান্ডেলের এক জায়গায় আঁকা হয়েছে এই ছবি। যেখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, একটি গাড়ি এক চাষিকে ধাক্কা মারছে। ছবির উপরে লেখা আছে, মটরগাড়ি ওড়ায় ধুলো, পিষে মরে চাষিগুলো।


যে দৃশ্যের সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে, লখিমপুরের কৃষকহত্যার ঘটনা।যদিও পুজো উদ্যোক্তারা দাবি করছেন, লখিমপুরের ঘটনার আগেই এই দৃশ্য প্যান্ডেলে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। তবে মর্মান্তিক ওই ঘটনার পর, লখিমপুরের চাষিদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে পুজো মণ্ডপে।