কলকাতা: স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই কলকাতা হাইকোর্টের কাছে তীব্র ভর্ৎসিত হয়েছে সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এবার আদালতে হলফনামা জমা দিতে গিয়েও হোঁচট খেল এসএসসি। গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় প্রথমে ফেরানোর পরে সংশোধিত হলফনামা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ হাইকোর্টের। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে বিতর্কিত চাকরিপ্রাপকদের তথ্য সংরক্ষণের নির্দেশ। আরও ৫০০ বিতর্কিত চাকরিপ্রাপককে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ। সোমবার হাইকোর্টে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের হলফনামা তলব। ‘বিতর্কিত নিয়োগের সুপারিশপত্র কীভাবে পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা? কীভাবে, কবে সুপারিশপত্র পেয়েছিল পর্ষদ?’ জানাতে নির্দেশ আদালতের। ৫ আঞ্চলিক কমিটির সচিবের নামও হলফনামায় উল্লেখের নির্দেশ।
২০১৬ সালের স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। সেইমতো প্যানেল তৈরি করে নিয়োগও হয়ে যায়। ২০১৯ সালের ৪ মে সেই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এই প্রেক্ষাপটে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে ২৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বুধবার আদালতে কমিশনের তরফে জানানো হয়, ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশপত্র ভুয়ো। প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আর কাউকে কমিশনের তরফে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি। কমিশনের এই বক্তব্যকে হলফনামা আকারে জমা দিতে বলে আদালত। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই হলফনামা গ্রহণ করল না কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘কমিশনের দেওয়া হলফনামা তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দেওয়া হয়নি।’ পরে এই বক্তব্যকেই মান্যতা দেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসি-র পাঁচ আঞ্চলিক কমিটির সচিবের নামও হলফনামায় উল্লেখ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। এরপর কমিশনকে নতুন করে হলফনামা দেওয়ার জন্য আরও আধঘণ্টা সময় দেন বিচারপতি। শেষপর্যন্ত সংশোধিত হলফনামা গ্রহণ করে হাইকোর্ট।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, ‘বিষয়টা দেখছি। তখন আমি দায়িত্বে ছিলামও না। এটা ২০১৬-র বিষয়। এত বড় দফতর, এখনও খোঁজ নেওয়া হয়নি।’