সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: দিন দিন জমছে মামলার পাহাড়! রায় শোনার অপেক্ষায় দিন গুণছেন বিচারপ্রার্থীরা।
এই পরিস্থিতিতে জমে থাকা মামলার ভার কমাতে উদ্যোগী বিচার বিভাগ। মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে কমার্শিয়াল ডিসপিউট বা বাণিজ্যিক ক্ষেত্রের মামলা নিষ্পত্তি করার ভাবনা কলকাতা হাইকোর্টের।
এবিষয়ে বৃহস্পতিবার এক আলোচনাচক্র ও কর্মশালার আয়োজন করা হয় ন্যাশনাল লাইব্রেরির ভাষা ভবনে। উদ্যোক্তা কলাকাতা হাইকোর্ট, স্টেট লিগাল সার্ভিসেস অথরিটি এবং ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিসেস অথরিটি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণণ, বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার, বিচারপতি অরিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণণ বলেন, এটা আমরা ওপেন করছি, মানুষের সুবিধা হবে আশা করি।
দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে মধ্যস্থতাকারীর ব্যবস্থা।
কীভাবে কাজ করেন মধ্যস্থতাকারীরা?
আদালত সূত্রে খবর, আদালতে চলতে থাকা মামলাই শুধু নয়, যেসব বিতর্কিত বিষয়ে ভবিষ্যতে মামলা হতে পারে তারও নিষ্পত্তি হতে পারে মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে। যেখানে দু’পক্ষকে নিয়ে আলাদা করে বা একসঙ্গে বসে রফাসূত্র খোঁজার চেষ্টা হয়। দুই পক্ষের স্বার্থ বাঁচিয়ে বিবাদের নিষ্পত্তি করা হয়। দেখা হয়, কেউ যেন নিজেকে পরাজিত মনে না করেন। বিবাদ নিষ্পত্তির পর তা মান্যতার জন্য পাঠানো হয় আদালতে।
মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি হলে সুবিধা কী?
- সময় ও অর্থ কম লাগে, ঝামেলা কম হয়।
- দীর্ঘসূত্রিতার ভয় থাকে না, দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি হয়।
- বিবদমান দুই পক্ষের পুরনো সম্পর্ক ফিরে আসতে পারে। ভবিষ্যতে ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
- আদালেত বিচারাধিন মামলা মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে নিষ্পত্তি হলে ফেরত পাওয়া যায় কোর্ট ফি।