সত্যজিৎ বৈদ্য ও ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: ফের প্রকট সরকারি হাসপাতালের রেফার রোগ। ৩টি হাসপাতালে হয়রানির শিকার ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস ঘুরে ১৭ ঘণ্টা পর এসএসকেএমে ভর্তি করা হল রোগিণীকে। 


বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে, দাবি এনআরএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। প্রতিক্রিয়া মেলেনি এসএসকেএম ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের।


পরিবার সূত্রে খবর,  শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ আগরপাড়ার বাসিন্দা ৫৭ বছরের ওই প্রৌঢ়াকে শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে রেফার করা হয় এনআরএস হাসপাতালে। 


অভিযোগ, শুক্রবার দুপুর ২টো থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় ফেলে রেখে এনআরএসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এখানে চিকিৎসা সম্ভব নয়।


পরিবারের দাবি, রাতে এনআরএস থেকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল ঘুরে রোগিণীকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে।  অভিযোগ, সেখানেও জরুরি বিভাগের সামনে দীর্ঘক্ষণ কার্যত বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। 


৪টি সরকারি হাসপাতালে টানা ১৭ ঘণ্টা দুর্ভোগের পর শেষমেশ রাত ১টা নাগাদ রোগিণীকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।


একে ক্যান্সার আক্রান্ত, তার ওপর প্রবল শ্বাসকষ্টের সমস্যা। এমন রোগিণীকে ফেরানোর অভিযোগ ওঠায় ফের প্রকট হয়ে পড়ল সরকারি হাসপাতালের রেফার-সমস্যা।


করোনার এই সঙ্কটকালে অসুস্থদের ক্ষেত্রে প্রতি মুহূর্ত যখন ভীষণ মূল্যবাণ, সেই পরিস্থিতিতে এমন আচরণে প্রশ্নের মুখে একাধিক সরকারি হাসপাতাল। 


এসএসকেএম ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে প্রতিক্রিয়া না মিললেও এনআরএসের অধ্যক্ষ শৈবাল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন,  বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


সূত্রের খবর, ঘটনার কথা জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের কাছে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। 


কয়েকদিন আগে, অক্সিজেন মজুত থাকা সত্ত্বেও, শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মীদের অনুপস্থিতির কারণে, অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে। যদিও সুপারের দাবি, অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে যাওয়াতেই ওই রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।