কলকাতা: কলকাতায় সেঞ্চুরির পথে পেট্রোল। পাল্লা দিয়ে বাড়ল ডিজেলের দামও। এই নিয়ে পরপর দুদিন বাড়ল জ্বালানির দাম।
আজ, রবিবার, কলকাতায় লিটারপ্রতি ৩৩ পয়সা বেড়ে পেট্রোলের দাম হয়েছে ৯৮ টাকা ৩০ পয়সা। ডিজেলের দাম বেড়েছে লিটারে ২৫ পয়সা। ফলে ডিজেলের নতুন দাম ৯১ টাকা ৭৫ পয়সা।
এর আগে গতকাল বেড়েছিল জ্বালানি মূল্য। শনিবার কলকাতায় লিটারপ্রতি ৩৪ পয়সা বেড়ে পেট্রোলের দাম হয়েছিল ৯৭ টাকা ৯৭ পয়সা। অন্যদিকে, ডিজেলের দাম লিটারে ৩৫ পয়সা বেড়ে হয়েছিল ৯১ টাকা ৫০ পয়সা।
তার ২ দিন আগে, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার জ্বালানির দাম বেড়েছিল। সেদিন কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ২৫ পয়সা বেড়ে হয়েছিল ৯৭ টাকা ৬৩ পয়সা এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ০৭ পয়সা বেড়ে হয়েছিল ৯১ টাকা ১৫ পয়সা।
কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সম্প্রতি বলেছেন, মানছি জ্বালানির দামবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু একবছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে করোনার ভ্যাকসিনের জন্য। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য আমরা অর্থ সঞ্চয় করছি।
করোনা পরিস্থিতির জেরে আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে দেশ। তার ওপর পেট্রোল-ডিজেলের এইভাবে দাম এক-দুদিন অন্তর বেড়ে চলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এর ফলে আশঙ্কিত মধ্যবিত্তরা।
করোনা আবহে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। তার ওপর পেট্রোল-ডিজেলের এইভাবে দাম বেড়ে চলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা।
অর্থনীতিবিদদের একাংশের যুক্তি, একটা স্তরে সরকারের উচিত দাম নিয়ন্ত্রণ করা। তাঁদের মতে, এটা জরুরি পণ্য। এর সঙ্গে বাজারের অন্য পণ্যের দামের ওঠানামা যুক্ত। এর দায় এড়াতে পারে না সরকার। একটা স্তরে দাম নিয়ন্ত্রমের করা উচিত। জিএসটি আওতায় আনছে না। এটা আনলে ভাল হতো।
কয়েকদিন এই ইস্যুতে ভারসাম্য রক্ষার পরামর্শ দেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার। তিনি বলেন, সবসময় এটা বলা হয় যে, পেট্রোল-ডিজেলের মৃল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কিছু করুক। কিন্তু আমাদের ভারস্যমাও রক্ষা করতে হবে। সরকারের দায়িত্ব মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। আমি আশা করি, যাঁদের এই দায়িত্ব, তাঁরা ভারসাম্য রক্ষা করবেন।
ইতিমধ্যেই তেলের দামের বোঝা বাজারের কাঁধে চাপতে শুরু করেছে। ক্রমাগত জ্বালানির দাম বাড়ায় প্রভাব পড়ছে বাজারে। জিনিসপত্রের আগুন দামে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। খুচরো বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দামও ঊর্ধ্বমুখী। এই সাঁড়াশি চাপে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত।