দীপক ঘোষ, কলকাতা : দলবদলের জোরদার জল্পনার মাঝেই বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকে ডাক পেলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন খবরই পাওয়া যাচ্ছে সূত্র মারফত। ইতিমধ্যে গেরুয়া শিবিরের রাজ্য নেতৃত্বের উদ্দেশে জোড়া চিঠি দিয়েছেন গত বিধানসভা ভোটের কিছুদিন আগে ঘাসফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো তৃণমূলের নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৯ তারিখ বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠক রয়েছে। জানা যাচ্ছে, সেখানে ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রথীন্দ্রনাথ বসুকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


এদিকে, ইতিমধ্যে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বকে জোড়া চিঠি পাঠিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে মুখবন্ধ খামে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। আর একটিু খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। মুখবন্ধ খামে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কী লিখেছেন, তা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি কোনও পক্ষই। তবে খোলা চিঠিতে ডোমজুড়ের ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নাম ও ঠিকানার উল্লেখ করে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন রাজীব।


কিছুদিন আগেই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা করার পর থেকেই তাঁর দলবদলের জল্পনা ফের জোরালো হয়। দু'জনই 'সৌজন্য সাক্ষাৎ' বললেও জল্পনা থেমে থাকেনি। বিশেষ করে 'মা মাটি মানুষ' লেখা ব্যাজ রাখা গাড়িতে চড়ে রাজীবের কুণালের সঙ্গে সাক্ষাতের জেরেই প্রত্যাবর্তন গুঞ্জন জোরালো হয়েছিল। পাশাপাশি বিজেপি নেতৃত্বের ভোট পরবর্তী ভূমিকা নিয়েও তিনি কার্যত জনসমক্ষেই প্রশ্ন তুলে জল্পনা আরও কিছুটা জোরালো করেছিলেন। 'কথায় কথায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি মানুষ ভালোভাবে নেবে না' লিখে রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছিলেন তিনি।



বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে রীতিমতো নাটকীয়ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে বিধানসভা থেকে মন্ত্রীত্বে ইস্তফা দিয়ে বেরিয়ে আসার পর তৃণমূল ছেড়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বিশেষ বিমানে দিল্লি উড়ে গিয়ে যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। ভোটের ময়দানে তিনি তৃণমূল দলকে সমালোচনায় বিদ্ধ করলেও সরাসরি সেভাবে আক্রমণ করেননি তৃণমূল সুপ্রিমোকে। অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চড়া সুরেই আক্রমণ শানিয়েছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে।