বীরভূম: গরু পাচারকাণ্ডে ফের অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস পাঠাল সিবিআই। সূত্রের খবর, ১৪ মার্চ নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে অনুব্রতকে। সিবিআইয়ের দাবি, এর আগে দু’ বার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাই চতুর্থবার নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত। এই নোটিসের পর হাজিরা না দিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। খবর সিবিআই সূত্রে। 


এর আগে একাধিকবার গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই । গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুব্রত মণ্ডলকে নিজাম প্যালেসে তলব করে সিবিআইয়। এর আগে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় অনুব্রতকে তলব করেছিল সিবিআই। গরুপাচারকাণ্ডে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে তলব। সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তের স্বার্থে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। আর তাই এই তলব। 


কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দেওয়া রক্ষাকবচের বিরুদ্ধে পাল্টা আবেদন নয়, বরং ফের অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) নতুন করে নোটিস দেয় সিবিআই (CBI)। তৃণমূল (TMC) নেতাকে নতুন করে তৃতীয়বার নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। জানা যায়,  তৃতীয় নোটিস (Third Notice) পাঠিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। তারপর সেই জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য তারা হাইকোর্টে দাখিল করবেন বলেই সিবিআই-র তরফে খবর ছিল। কিন্তু বারবারই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন অনুব্রত। 


এদিকে গরুপাচারকাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ-অভিনেতা দেবেকও সিবিআই নোটিস দেওয়া হয়। গরুপাচারকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে ঘাটালের সাংসদ দেবের। গরুপাচারকাণ্ডে দেবকে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। ১৫ ফেব্রুয়ারি নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  সূত্রের খবর, সাক্ষীদের বয়ানে দেবের নাম উঠে এসেছে। একাধিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দেবকে তলব করা হয়েছে। আর ঠিক তার আগের দিন সিবিআইয়ের তরফে তলব করা হয়েছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে। সিবিআই সূত্রে খবর, একাধিক সাক্ষীদের বয়ানে অনুব্রত মণ্ডলের নাম উঠে আসে। সিবিআই আধিকারিকরা গত ২ মাস ধর তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কাজ শুরু করেন বলে সূত্রের খবর।  প্রাথমিকভাবে সিবিআই আধিকারিকদের অনুমান, গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের যোগসাজশ রয়েছে।  


কয়লার পর এবার গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে সক্রিয় CBI। ১৫ ফেব্রুয়ারি, দেবকে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামূল হকের এক কর্মী কাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে এবং কার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে, তা একটি ডায়েরিতে লিখে রাখতেন। সিবিআই সূত্রেদাবি, সেখান থেকেই প্রথম দেবের সূত্র পাওয়া যায়। এরপর, CBI’র আধিকারিকরা একাধিক সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করেন। তদন্তকারীদের আরও দাবি, একাধিক সাক্ষীর বয়ানে ঘাটালের তৃণমূল সাংসদের নাম বারবার উঠে এসেছে।  এখানেই CBI’র প্রশ্ন, তবে কি এনামূলের টাকা দেবের কাছে পৌঁছেছিল?  কোনওভাবে কি তিনি যুক্ত আছেন? কোনও সুবিধা কি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে?  সূত্রের খবর, এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে চায় CBI। তাই দেবকে তলব করা হয়েছে।