কলকাতা: কলকাতা বিমানবন্দরে (Netaji Subhash Chandra Bose International Airport) ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। হ্যাঙ্গারে ট্র্যাক্টর উল্টে (Tractor Accident) মৃত্যু হল বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড স্টাফ এক যুবকের (Ground Staff Dead at CCU)। এ নিয়ে বিমান বন্দরের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে মৃত যুবক জলপাইগুড়ির বাসিন্দা বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে।


শুক্রবার বিকেল ৫টা বেজে ২৫ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে কলকাতা বিমানবন্দরে। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সঞ্জিৎ রায়। বয়স ৩১ বছর। জলপাইগুড়ির বাসিন্দা তিনি। বিমানবন্দরে মালবাহী কন্টেনার ট্র্যাক্টরে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করতেন তিনি।


বিমানবন্দর সূত্রে খবর, এ দিনও নিজের কাজ করছিলে সঞ্জিৎ। কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়ার হ্যাঙ্গারের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই উল্টে যায় ট্র্যাক্টরটি। সেই সময় ট্র্যাক্টর থেকে ছিটকে মাটিতে পড়ে যান সঞ্জিৎ। আর ট্র্যাক্টরটি উল্টে গিয়ে তার একাংশ সরাসরি সঞ্জিতের মাথার উপর এসে পড়ে।


আরও পড়ুন: WB Municipal Polls: দু’সপ্তাহ পিছনো হোক বকেয়া পুরভোট, কমিশনের কাছে আর্জি রাজ্যের


দুর্ঘটনার পরই তড়িঘড়ি সঞ্জিৎকে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এ নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত সরাসরি কোনও বিবৃতি প্রকাশ করেননি যদিও।


তবে সূত্রের খবর, এই ঘটনা নিছকই দুর্ঘটনা। ঘটনার সময় হ্যাঙ্গারের আশেপাশে কেউ ছিলেন না। আচমকাই ট্র্যাক্টরটি উল্টে যায়। তাতে পিষ্ট হয়েই দুর্ভাগ্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় সঞ্জিতের। বিমানবন্দর সংলগ্ন থানা গোটা বিষয়টির তদন্তে নেমেছে।


ঘটনার সময় বিমানবন্দরের কোনও কর্মী ঘটনাস্থলে ছিলেন না কেন, তা নিয়ে যদিও প্রশ্ন উঠছে।  এ নিয়ে বিমানবন্দরের তরফে কোনও সাফাই দেওয়া হয়নি। তবে সূত্রের খবর, ভারী মালপত্র ট্র্যাক্টরে চাপিয়ে নিয়ে বিমানে তোলা এবং নামানোই কাজ ছিল সঞ্জিতের। এ দিন কেউ তাঁকে সাহায্য করতে উপস্থিত ছিলেন কি না জানা যায়নি। দুর্ঘটনার পর কে প্রথমে সঞ্জিৎকে দেখতে পান, তা-ও স্পষ্ট নয়।