কলকাতা: যাদবপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ। এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
অভিযোগ, লাঠিচার্জে আক্রান্ত হন মহিলা সহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। পাল্টা বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
মঙ্গলবার দুপুর ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে যাদবপুরে নীলসঙ্ঘ এলাকায়। সূত্রের খবর, ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের নিয়ে এলাকায় যান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা।
অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের সঙ্গে অশান্তিতে জড়ান স্থানীয় বাসিন্দারা। দুপক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, সেই সময়, লাঠিচার্জ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আহত হন মহিলা সহ বেশ কয়েকজন। আহত ৫ জন মহিলা ভর্তি বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।
যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনায় বিজেপির প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। যাদবপুরের তৃণমূল বিধায়ক দেবব্রত মজুমদারের দাবি, এটা বিজেপির প্ররোচনা।
অন্যদিকে, এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর তরফে ট্যুইটারে কতগুলি ছবি প্রকাশ করা হয়। এএনআই-এর সেই ট্যুইটে বলা হয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দাবি, দুষ্কৃতীদের আক্রমণের মুখে পড়েন কমিশনের প্রতিনিধিরা।
যদিও এনিয়ে কমিশনের তরফে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল।
জেলায় জেলায় যাওয়ার পাশাপাশি, সল্টলেকে সিআরপিএফের মেসে অভিযোগ শোনার ব্যবস্থা করে কমিশন।
বিধানসভা ভোটে পরাজিত দুই বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে ও অর্চনা মজুমদারের উদ্যোগে তাঁরা নালিশ জানাতে আসেন।
আর এ নিয়েই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। দলীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দু-একটি কেস থাকতে পারে, বাদ বাকি সব কেস সাজানো, আমি বলব নিরপেক্ষভাবে কাজ করুন।
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, তদন্ত হচ্ছে হাইকোর্টের নির্দেশে, এর থেকে বোঝা যাচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেকে দিয়ে তদন্তের চাপ বিজেপির তরফে এসেছিল।
বিজেপির তোলা ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত বুধবার থেকে রাজ্যে আছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল।