কলকাতা: দেশে করোনা সংক্রমণ নতুন করে বাড়ায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। মেট্রো কর্তৃপক্ষ বুধবার রাতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল, এবার থেকে মাস্ক ছাড়া মেট্রো স্টেশনে ঢোকাই যাবে না। মাস্ক না থাকলে মেট্রোয় উঠতেই দেবে না আরপিএফ। দেশে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধিতে এমন নির্দেশ দিয়েছে মেট্রো।
নিউ নর্ম্যালে ধীরে ধীরে স্বাভাবিকত্ব ফিরছে জনজীবনে। অফিস-কাছারি খুলে গিয়েছে। বিমান, রেল ও সড়ক পরিষেবাও স্বাভাবিক। তবে করোনা সংক্রমণের ছবিটা কিন্তু ফের ভয়াবহ হয়ে উঠছে। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও অনেককেই রাস্তাঘাটে দেখা যাচ্ছে দূরত্ববিধি উপেক্ষা করতে। মাস্ক না পরে ঘুরে বেড়াতে। কলকাতার ছবিটা পাল্টাতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। মাস্ক ছাড়া বেরলে ধরপাকড় হচ্ছে পুলিশের তরফে।
কলকাতা পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৭ মার্চ, বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত কলকাতায় মোট ২৯ জনের বিরুদ্ধে মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরনোয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৬ মার্চ অর্থাৎ মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত মোট ৬৬ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে মাস্ক না পরায়। ১৫ মার্চ অর্থাৎ সোমবারের তথ্য বলছে, রাত ৮টা পর্যন্ত ৭৭ জনের বিরুদ্ধে মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরনোয় ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। ১৪ মার্চ অর্থাৎ রবিবার মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরনোর জন্য কলকাতায় বেলা ১২টা পর্যন্ত ২৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শনিবার, ১৩ মার্চের পরিসংখ্যানটা আরও বেশি। মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরিয়ে বেলা ১২টা পর্যন্ত পুলিশের কাছে আটক হয়েছে ৫৩ জন। ১২ মার্চ, শুক্রবার বেলা ১২টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, মাস্ক না পরে বেরনোয় ৬৯ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ রাত ৮টা পর্যন্ত ৫৯ জন মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরনোর পুলিশের শাস্তির কবলে পড়েছে।
মাস্ক পরছেন না? ধরপাকড় হচ্ছে কিন্তু
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় ত্রস্ত অনেকে। ভারতের পরিস্থিতিটাও উদ্বেগের। বুধবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, দেশের ১৬ রাজ্যের ৭০টি জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে ১৫০ শতাংশ! কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, গত ১৫ দিনে উদ্বেগজনক হারে ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনা। আক্রান্ত হচ্ছেন প্রচুর মানুষ।
সাবধানতা ও সচেতনতাই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আটকানোর সেরা উপায় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই কড়া পদক্ষেপ করছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষও।