কলকাতা:
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৬৮ বছর বয়সী ওই চিকিৎসক। আজ সকাল ১১টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যৌনকর্মী এবং সমাজে ব্রাত্য মহিলাদের সাহায্য করার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
টিকা নিয়েও করোনা আক্রান্ত একাধিক চিকিৎসক। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট সেন্টিনারি হাসপাতালের ১৪জন চিকিৎসক আক্রান্ত।
আক্রান্ত হাসপাতালের করোনা চিকিৎসার ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসকও। চ্যালেঞ্জের মুখে হাসপাতালের করোনা চিকিৎসা পরিষেবা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে নিয়োগ।
এর আগে চলতি সপ্তাহের গোড়ায় করোনায় প্রাণ কাড়ে রাজ্যের আরও এক চিকিৎসকের। সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে মৃত্যু হয় প্রবীণ ক্যান্সার রোগ বিশেষজ্ঞ জি এস ভট্টাচার্যর। করোনা আক্রান্ত ওই চিকিৎসক ভেন্টিলেশনে ছিলেন।
একইদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের চিকিৎসক অলোক মুখোপাধ্যায়ের।
কয়েকদিন আগে করোনা পজিটিভ নিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
বাংলায় ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি। ফের একবার করোনা সংক্রমণে বাংলায় রেকর্ড তৈরি হয়েছে। আঠারো হাজার পেরিয়ে এবার এক দিনে ১৯ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত হলেন বাংলায়।
সেইসঙ্গে লাগাতার চারদিন ধরে, রাজ্যে একশোরও বেশি মৃত্যু হচ্ছে। শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১১২ জন রাজ্যবাসীকে হারিয়েছি আমরা।
এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত বাংলায় ১২ হাজার ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্বেগ বাড়িয়ে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ২৪ হাজার পেরিয়ে গেল।
পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, পজিটিভিটি হারের নিরিখে গোটা দেশে এখন চতুর্থস্থানে পশ্চিমবঙ্গ।
এরইমধ্যে করোনার ভ্যাকসিনেশন নিয়েও সমস্যা অব্যাহত। দিকে দিকে ভ্যাকসিনেশনের জন্য হাহাকার।