কলকাতা: দিন কুড়ি আগেও যা ছিল ১২০ এখন তাই ১৮০ বা তার বেশি। খাঁটি তেলের ঝাঁঝ নয় সরষের তেলের দামেই চোখে জল মধ্যবিত্ত মানুষের। মহার্ঘ অন্যান্য ভোজ্য তেলও। সাধারণের মুখে হাসি কবে ফুটবে তা বলতে পারছেন না কেউ।
মধ্যবিত্তর হেঁশেলে ফের বড়সড় ধাক্কা। দাম বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যে সরষের তেল কিনতে গিয়ে চোখে সরষের ফুল দেখছে সাধারণ মানুষ। করোনার প্রথম ধাক্কা বদলে দিয়েছে বহু মানুষের জীবন। কেউ হারিয়েছেন চাকরি, কারও কোপ পড়েছে রোজগারে। তার ওপর আছড়ে পড়ছে দ্বিতীয় ঢেউ। এমন অবস্থায় দু’বেলা দু’মুঠো ভাত আর সরষের তেল দিয়ে মাখা আলুসেদ্ধও যেন কষ্টকল্পনা।
কারণ, গত এক মাসে হুহু করে বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম। বিশেষ করে আকাশছোঁয়া দাম সরষের তেলের। যেটা নাহলে হেঁশেল প্রায় অচল। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১ লিটার সরষের তেলের দাম দিন ২০ আগেও ছিল ১২০ থেকে ১৩০টাকা। এখন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। কোনও কোনও ব্র্যান্ডের দাম তো ২০০ টাকা। এই পরিস্থিতিতে কী খাবেন আর কী মাখবেন, তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ মানুষের।
এক ক্রেতা বলেন, এই সময়ে সরষের তেলের দাম বেড়ে যাওয়াটা মোটেই ঠিক নয়। এক বিক্রেতা বলেন, সরষের তেল লিটারে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। এখন ন্যূনতম দাম ১৭০ টাকা বা ১৮০ টাকা। কিন্তু সরষের তেলের দাম এতটা বাড়ল কেন? শহরের বিভিন্ন পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচামালের জোগানের অভাবই এর মূল কারণ। পোস্তা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট চন্দন চক্রবর্তী বলেন, পরিবহন খরচ অনেকটাই বেড়েছে।
সরষের তেল ছাড়া সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, রাইস ব্র্যানের মতো ভোজ্য তেলের দামও লাফিয়ে বাড়ছে। ভাইরাসের সঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে অন্যান্য জিনিসের দাম। এই পরিস্থিতিতে কোথায় যাবে সাধারণ মানুষ? উদ্বেগ বাড়িয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভোজ্য তেলের দাম কমার কোনও লক্ষণ অদূর ভবিষ্যতে নেই।