নয়াদিল্লি: সব রোগীকেই প্রয়োজনে হাসপাতালে বেড দিতে হবে, দিতে হবে প্রয়োজনীয় ওষুধ। স্থানীয় এলাকায় বসবাসের প্রমাণ না দিতে পারলেও রোগী প্রত্যাখ্যান করা যাবে না। করোনাকালে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলোকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।


এই প্রেক্ষিতে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি সংক্রান্ত একটি জাতীয় নীতি তৈরি করতেও কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। 


আদালত জানিয়েছে, ওই নীতি সব রাজ্যকে অনুসরণ করতে হবে। ততদিন, স্থানীয়  এলাকায় বসবাসের প্রমাণ বা পরিচয়পত্র না থাকলে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি বা ওষুধ প্রত্যাখ্যান করা যাবে না।


শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, করোনা অতিমারীর এই সেকেন্ড ওয়েভের সময়ে হাসপাতালে বেড পাওয়াটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। 


আদালত বলেছে, নির্দিষ্ট নীতির অবর্তমানে দেশবাসীকে প্রচণ্ড অসুবিধের সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য় ও স্থানীয় প্রশাসন নিজ নিজ প্রোটোকল অনুসরণ করে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাসপাতালে ভর্তির বিভিন্ন নিয়মের ফাঁসে জর্জরিত হতে হয় সাধারণ মানুষকে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।


পাশাপাশি, অক্সিজেনের নিয়মিত জোগানের পাশাপাশি চারদিন কাজ চালানোর মতো অক্সিজেন যাতে মজুত থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।


এই প্রেক্ষিতে এই বাড়তি অক্সিজেন যাতে প্রতিদিন মজুত থাকে তারও ব্যবস্থা করতে হবে, করোনাকালে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।


এর মধ্যেই, এদিন ফের অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগীর মৃত্যুর খবর এসেছে। এবারের ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের মেরঠ। 


হাসপাতালে ভর্তি থাকা মৃত রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, দরকার থাকলেও কোনও রোগীকে বেশ খানিকক্ষণ অক্সিজেন দিতে পারেনি হাসপাতাল। ফলে ৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়। 


এরপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের আত্মীয়রা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত রোগীদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের প্রত্যেকের কোমর্বিডিটি ছিল। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।