কলকাতা: পুজোর শুরুতেই এই ছবি দেখে সাধারণ মানুষকে বারবার সতর্ক করেছিলেন চিকিৎসকরা! কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেছেন আর ক’জন! পরিণাম? পুজো মিটতেই হু হু বাড়ছে করোনার সংক্রমণ রাজ্য সরকারের মেডিক্যাল বুলেটিনেই দেখা যাচ্ছে, গত শনিবার, একাদশীর দিন রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৪৩। মৃত্যু হয় ১০ জনের।
শুধু তাই নয়, চিন্তা বাড়াচ্ছে আরেকটি বিষয়। তা হল করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরও কলকাতায় আক্রান্তের পরিসংখ্যান চিন্তার। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েও কলকাতায় আক্রান্ত ১৬৩ জন। এদিকে, যদি পুজোর মধ্যের সংক্রমণ পরিসংখ্যান দেখা যায় তাহলে দেখা যাবে, রবিবার অর্থাৎ ১৭ অক্টোবর দৈনিক আক্রান্ত একলাফে বেড়ে হয় ৬২৪! মৃত ১৪। গত সোমবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে ৬৯০-এ পৌঁছে যায়। মৃত্যু হয় ১২ জনের।
মঙ্গলবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০-র গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছয় ৭২৬-এ। মৃত্যু হয় ৯ জনের। পরদিন বুধবার, নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৬৭ জন। ৯ জনের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমে হয় ৮৩৩। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ১৪। দশমীর পরে করোনা গ্রাফ তরতরিয়ে চড়েছে কলকাতায়। রাজ্য সরকারের মেডিক্যাল বুলেটিন অনুযায়ী, গত শনিবার, একাদশীর দিন কলকাতায় দৈনিক করোনা আক্রান্ত হন ১০৮ জন। মৃত্যু হয় ১ জনের।
রবিবার অর্থাৎ ১৭ অক্টোবর, কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে পৌঁছয় ১৭৯-তে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ৪। গত সোমবার কলকাতায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে হয় ১৯৪। মৃত্যু হয় ২ জনের। মঙ্গলবার নতুন আক্রান্ত হন ১৮৩ জন। মৃত্যু হয় ২ জনের। গত বুধবার, কলকাতায় দৈনিক আক্রান্ত একলাফে পৌঁছয় ২৪৪-এ। মৃত্যু হয় আরও ২ জনের। বৃহস্পতিবার কলকাতায় দৈনিক আক্রান্ত ২৩২। মৃত ৫।
এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, কেন বিশেষজ্ঞরা বারবার পুজোর সময়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক হতে বলছিলেন। কেন ভিড় নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছিলেন। অনেকেই ভ্যাকসিনের ডাবল ডোজ হয়ে গেছে ভেবে নিশ্চিন্ত ছিলেন! তাঁদের অনেকেই ভিড় ঠেলে প্যান্ডেল হপিং করেছেন। মাস্ক পরারও বিশেষ প্রয়োজন বোধ করেননি। এখন কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, বুধবার, কলকাতায় সংক্রমিত ২৪৪ জনের মধ্যে ১৩২ জনেরই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় সংক্রমিতদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েও আক্রান্ত ১৬৩ জন।