ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুনের তদন্তে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা থেকে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালবাজারে নিয়ে আসা হচ্ছে।
কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়ির চালক রবিন মণ্ডলকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত মিঠু হালদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বড় ছেলে ভিকি ফেরার।
জোড়া খুনের তদন্তে আরও কিছু নতুন তথ্য সামনে এসেছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, কর্পোরেট কর্তার বাড়িতে হানা দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মিঠু অপরাধমনস্ক ৩ যুবককে জোগাড় করে। ঘটনার আগেরদিন অপারেশনের পরিকল্পনা করা হয়।
ঘটনার দিন বিকেল ৪টে নাগাদ ট্রেন ধরে বালিগঞ্জ স্টেশনে আসে মিঠু। সে যাদের জোগাড় করেছিল, সেই তিনজনও চলে আসে। ভিকি নিয়ে আসে আরও একজনকে। পুলিশ সূত্রে দাবি, মিঠু স্টেশনেই অপেক্ষা করছিল। বাকি পাঁচজন কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে হানা দেয়।
ভিকি ফার্ন রোডে একটি জায়গায় কাজ করত। সেখানেই সে রক্তমাখা জামাকাপড় রেখে দিয়েছিল। পুলিশের সূত্রে দাবি, ঘটনার পরদিন ওই জায়গা থেকে রক্তমাখা পোশাক নিয়ে যায় মিঠু।
পুলিশ সূত্রে দাবি, লুঠের উদ্দেশ্যে বাড়ি কেনার টোপ দিয়ে কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকীকে ডেকে পাঠিয়েছিল ভিকি। ভেবেছিল সুবীর চাকীর কাছে মোটা টাকা থাকবে। সঙ্গে করে ছুরি এনেছিল ভয় দেখিয়ে লুঠের জন্য। কাঁকুলিয়ার বাড়ি ফাঁকা থাকে জেনেই এই পরিকল্পনা করেছিল মা ও ছেলে।
কিন্তু, শুরুতেই তাদের প্ল্যান হোঁচট খায়। কারণ, মিঠুকে জেরা করে পুলিশ সূত্রে দাবি, বাড়িতে পৌঁছে ভিকিকে দেখেই চিনে ফেলেন সুবীর চাকী। কারণ এর আগেও কাঁকুলিয়ার বাড়ি কেনার জন্য একবার সুবীরের সঙ্গে দেখা করেছিল ভিকি।
পুলিশ সূত্রে দাবি, সুবীর চাকি তাঁকে চিনে ফেলেছে বুঝে ঘাবড়ে যায় ভিকি। এরপরই, এলোপাথাড়ি কোপ মেরে কর্পোরেট কর্তাকে খুন করা হয়। প্রমাণ লোপাট করতে মেরে ফেলা হয় হয় তাঁর গাড়ির চালককেও।
এরপর বালিগঞ্জ থেকে ডায়মন্ড হারবারে নিজের বাড়ি ফিরে যায় ভিকি! আর তখনই ভিকির রক্তমাখা জামা কাচার সময়, তার মাকে দেখে ফেলেন এক প্রতিবেশী।