কলকাতা:  রাজ্যে করোনা-বেডের সঙ্কট মেটাতে নতুন উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। কিশোরভারতীর পর এবার সল্টলেক আমরি হাসপাতালের সহায়তায় সল্টলেক স্টেডিয়ামে তৈরি হল ২২৩ বেডের হাসপাতাল। এর মধ্যে ২১০টা জেনারেল বেড। 


গ্যালারির নিচে রয়েছে ১৪টা ডর্মিটরি। প্রতিটি ডর্মিটরিতে ১৫টা করে বেড। পাইপ লাইনের মাধ্যমে বেডগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। 


থাকছে একটি এইচডিইউ ও সিঙ্গল ও ডবল কেবিন। ডর্মিটরির ভাড়া ৩ হাজার। ডবল কেবিনের ভাড়া ৫ হাজার ও সিঙ্গল কেবিনের খরচ ৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে বেড ভাড়া ছাড়াও রয়েছে চিকিৎসার যাবতীয় খরচ। 


করোনার বিস্ফোরণে গোটা দেশের মতোই বেসামাল বাংলাও। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১৭ হাজার পার। প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। 


শ্মশানে মৃতদেহের সার। এরইমধ্যে করোনা রোগীদের জন্য বেড নিয়েও চারদিকে হাহাকার। 


পরিস্থিতি সামলাতে ইতিমধ্য়ে বেড সঙ্কট মেটাতে এর আগেও উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এর আগে, কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামেও একইভাবে হাসপাতাল গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। 


সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে, বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিকে মোট বেডের ৬০ শতাংশ কোভিড রোগীদের জন্য বরাদ্দ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।


পাশাপাশি,বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কোভিড বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়। অর্থাৎ, আর স্বাস্থ্য ভবনের মুখাপেক্ষী হতে হবে না। 


রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়ে দেয়, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরাই কোভিড বেড বাড়ানোর ব্যাপারে এবার থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। 


এদিকে, উত্তর কলকাতার বাসিন্দাদের জন্য সেফ হোম তৈরির প্রস্তুতি কলকাতা পুরসভার। করোনা মোকাবিলায় পাইকপাড়ার হরেকৃষ্ণ শেঠ লেনে মহিলাদের হস্টেলে ৭৫ বেডের সেফ হোম তৈরির উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা। 


আলাদা আলাদা ঘরে রাখা হবে করোনা রোগীদের। থাকছে অক্সিজেন পার্লার। প্রথম পর্যায়ে ৪০টা বেড থাকছে। ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে বেডের সংখ্যা। আজ ওই হস্টেল পরিদর্শন করেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ।