কলকাতা: মাস্ক না পরলে উঠতে দেওয়া হবে না বাসে। ঘোষণা জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাস চালক ও কনডাক্টরদের পাশাপাশি যাত্রীদেরও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
দেশ হোক বা এ রাজ্য, দৈনিক সংক্রমণ হোক বা দৈনিক মৃতের সংখ্যা। ক্রমশ লাগামছাড়া হয়ে যাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। কোথাও অক্সিজেনের জন্য হাহাকার।
কোথাও নিভছে না গণচিতার আগুন। কিন্তু প্রতিদিন এ ছবি দেখার পরও একাংশের বেপোরোয়া মনভাবে রাশ টানা যাচ্ছে না।
ইতিমধ্যেই বাড়ির বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এসব সত্ত্বেও বদলাচ্ছে না কুছ পরোয়া নেহি মনোভাব।
এই পরিস্থিতিতে মাস্ক না পরলে বাসে উঠতে দেওয়া হবে না, ঘোষণা করেছে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা বলেছি মাস্ক না পরলে গাড়িতে উঠতে দেওয়া হবে না। বাস চালক ও কনডাক্টরদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
এদিকে শনিবারের মতো রবিবারও করোনা মোকাবিলায় কড়া মনোভাবে পথে নামে পুলিশ। সল্টলেক ও লেকটাউনের বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন তাঁরা।
বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রে খবর, এদিন মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরোনোয় ৩০ জন পথচারীকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রতিদিন সংক্রমণের নতুন রেকর্ড। দৈনিক করোনা আক্রান্তের নিরিখে শনিবার ভয়ের রেকর্ড তৈরি হয়েছে বাংলায়!
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে একদিনেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ২৮১ জন।
গত ৬ দিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ একদিনে। সংখ্যাটা গত সোমবার থেকে ৮ হাজার থেকে বাড়তে বাড়তে সপ্তাহান্তে ১৪ হাজারে পৌঁছেছে!
একদিনে মৃত্যুর নিরিখেও উদ্বেগের ছবি। স্বাস্থ্য দফতরের শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে ৫৯ জন কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। গত ৬ দিনের নিরিখে যা সর্বোচ্চ!
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার পরিস্থিতি। স্বাস্থ্য দফতরের শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ২ হাজার ৯৭০ জন। মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের।
উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্ত ২ হাজার ৮২১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের! সবমিলিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা,
৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৬১ জন। এখনও অবধি ১০ হাজার ৮৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে।
প্রতিদিন নিজের হাজারো পরিচিত, অপরিচিত -- এত মানুষের মৃত্যু। এরপরও যদি হুঁশ না ফেরে তবে আর কবে সজাগ হবে মানুষ?