অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : মারণ ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা এখনও ভুলতে পারেনি দেশবাসী। একটা ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ ভারতবাসীকে।  মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দেশের প্রায় সোয়া তিন কোটি মানুষ। সবে যখন সংক্রমণের গ্রাফ কিছুটা নিম্নমুখী, তখন ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের একটি রিপোর্ট। 
সোমবারই, প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে সতর্ক করে, এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, অক্টোবরেই দেশে শিখর ছুঁতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দৈনিক সংক্রমণ সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ ছুঁতে পারে।



আমেরিকার মতো দেশে মোট জনসংখ্যার ৫২শতাংশ (৫২.১) ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পেয়ে গেছে। সেখানে ভারতে এখনও অবধি ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পেয়েছেন মাত্র ১৪.১৫ শতাংশ। ভ্যাকসিনেশনের জোড়া ডোজ কমপ্লিট হওয়ার তালিকায়, দেশের মধ্যে, পশ্চিমবঙ্গ সপ্তম স্থানে। ভ্যাকসিন পাওয়ার যোগ্যদের সংখ্যা ৭ কোটি ধরা হলে, এ রাজ্যে প্রায় ৫২ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের জোড়া ডোজ পেয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে, ভ্যাকসিনেশন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করল কলকাতা পুরসভা। সোম থেকে শনি, সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত, কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে দেওয়া হবে, করোনা ভ্যাকসিনের ফার্স্ট ও সেকেন্ড ডোজ। যে আগে আসবেন, তিনি আগে পাবেন। এই ভিত্তিতেই হবে ভ্যাকসিনেশন, জানিয়েছে পুরসভা। মঙ্গলবার, কলকাতা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড, বাগবাজার এলাকার এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নতুন নির্দেশিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া চলে। 

এর আগে ১৩ অগাস্ট কলকাতা পুরসভা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে সোম-বুধ-শুক্র কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ ও মঙ্গল-বৃহস্পতি-শনি প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। 
এরপর গত বৃহস্পতিবার ফের আরেক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। গ্রাহকরা অভিযোগ করেন, পুরসভা বারবার বিজ্ঞপ্তি বদল করায় তাঁরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভ্যাকসিনেশনের নতুন নিয়ম ঘোষণা করল কলকাতা পুরসভা। 

বুধবার, দেশে দৈনিক সংক্রমণ ফের ৩৭ হাজার ছাড়াল। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৯৩ জন। দৈনিক মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৪৮। বাড়ল সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৪ হাজার ১৬৯ জন।