কলকাতা : কেউ মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন, কেউ কাশতে কাশতে অসুস্থ হয়ে পড়েলেন...  মঙ্গলবার বিকেলে এক বেনজির ঘটনার সাক্ষী রইল কলকাতা। 'অন্যায়ভাবে বদলি করা হয়েছে' - এই অভিযোগে বিকাশভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন পাঁচজন শিক্ষিকা। হাসপাতালে এখন চলছে তাঁদের লড়াই। এই ঘটনা যেমন জনসাধারণের মনে বড় ধাক্কা দিয়েছে, তেমনই তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। 

আন্দোলনের পর বিকাশভবনে যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিনের ঘটনা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মুখ না খুললেও, চরমে পৌঁছেছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ' ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক, কিন্তু দেখতে হবে, এত দূর এগনোর প্ররোচনা কারা দিলেন। বদলির জন্য হলে এই সমস্যা চিরদিনের। দূরে পোস্টিং এগুলি সব জায়গায় আছে। বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই চাইছে কাছাকাছি যাতে শিক্ষকদের পোস্টিং হয়ট 

ঘটনায় গতকালই সরকারকে নিশানা করেছিলেন বিরোধীরা। সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, '' নির্বোধের মতো কথাবলা বন্ধ করুক, প্ররোচনা দিতে হবে এটা কথা নয়। বিষ খাওয়াকে সমর্থন করি না। চাকরি প্রার্থীদের কথা শোনার মতো কেউ নেই। ' 

আজ এই বিষয়ে মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । তিনি বলেন, 'এ রাজ্যে সব থেকে কম বেতন পান শিক্ষকরা। দীর্ঘদিন ধরে ডিএ বাড়ানো হয়নি। প্রতিবাদে তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। এ রাজ্যে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে।'


মঙ্গলবার কিছুটা একই সুরে কথা বলেছিলেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ' এই সরকার নিজেদের সমস্যা মেটাতে পারেনি, এই সরকার কর্মসংস্থান বাড়াতে পারেনি,  শূন্যপদে নিয়োগ সম্পূর্ণ করতে পারেনি' 


বুধবার মর্নিং ওয়াকে গিয়ে শুধু শিক্ষিকাদের আত্মহত্যার চেষ্টার প্রসঙ্গ নয়, তৃণমূলের দ্রুত উপনির্বাচন চাওয়া নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, ' মুখ্যমন্ত্রী থাকার জন্য উনি পাগল হয়ে যাচ্ছেন, তাই কোভিড বাড়লেও নির্বাচন চাইছেন' 

এরপর দিলীপের নিশানায় রিমঝিম মিত্র। মঙ্গলবার বিজেপির তারকা-কর্মী রিমঝিমের গলায় কিছুটা বিদ্রোহী সুর শোনা যায়। তিনি এও বলেন, তৃণমূলে যাওয়ার কথাও ভাববেন !! এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ' উনি আগেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন। কারও যদি দলে ভালো না লাগে তিনি দল ছাড়তেই পারেন। এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।'