সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: চড়চড় করে বাড়ছে মুরগির মাংসের দাম। ইতিমধ্যেই কাটা মুরগির দাম কলকাতার বাজারে আড়াইশো পার করেছে। সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকানেও কাটা মুরগির দাম দু’শোর ওপর।
করোনা পরিস্থিতিতে যখন হাই প্রোটিন ডায়েট খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা, সে সময় মুরগির মাংসের এই দামবৃদ্ধিতে সমস্যায় তাঁরা। দামের ঠেলায় টান পড়েছে মধ্যবিত্তের পকেটে।
ক্রেতারা বলছেন, সব জিনিসের দাম বাড়ছে। দারুণ সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, এমনিতেই বিক্রি কম, তার ওপর দাম বৃদ্ধিতে সমস্যা বাড়বে।
কিন্তু, কেন দাম বাড়ছে? (Why Chicken Price is Rising?)
পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, বন্যা ও অতি বৃষ্টিতে জোগান কমেছে, সেই কারণেই মুরগির মাংসের দর চড়া। ব্যবসায়ীদের দাবি, অনেক জায়গায় মুরগির খামারগুলি ভেসে গিয়েছে। অনেক জায়গায় পুরো বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে জোগানে। অন্যদিকে চাহিদা আগের তুলনায় বেড়েছে। ফলে, দাম ঊর্ধ্বমুখী।
তবে, এই প্রথম নয়। এর আগে, গত মে মাসেও কলকাতার খোলা বাজারে মুরগির মাংসের দাম প্রায় আড়াইশো ছুঁয়েছিল। কলকাতায় মুরগির মাংস বিক্রি হয়েছিল ২৪০ টাকা দরে। এমনকী, ন্যায্য মূল্যের দোকানেও মুরগির মাংসের দাম দুশো পার করেছিল। সেখানে এক কেজি মুরগির মাংসের দাম উঠেছিল ২০৫ টাকা।
এদিকে, মুরগি নয়, দাম বেড়েছে সবজিরও। জেলায় জেলায় অতিবৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সবজি চাষ ব্যাপকহারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কলকাতার বেশিরভাগ বাজারে প্রায় সব সবজির দামই পার করেছে হাফ সেঞ্চুরি। বৃষ্টির জন্য ফসলের ক্ষতি হওয়ায় এই পরিস্থিতি বলে দাবি বিক্রেতাদের একাংশের।
করোনা পরিস্থিতিতে অর্থ ব্যবস্থায় ধাক্কা লেগেছে। কোটি কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। আয় কমেছে অসংখ্য মানুষের। এই পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ায় মাথায় হাত ক্রেতাদের।
টম্যাটো, বিন, গাজর, ক্যাপসিকাম মূলত আসে ভিন রাজ্য থেকে। বাকি ফসল জোগান দেন রাজ্যের কৃষকরা। খুচরো বাজারের বিক্রেতাদের আশঙ্কা, সেই জোগান না বাড়লে দাম কমার এখনই সম্ভাবনা নেই।