কলকাতা: চিকিৎসায় গাফিলতিতে ফের করোনা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। এবার কাঠগড়ায় জোকা ইএসআই হাসপাতাল। 


পরিবার সূত্রে খবর, করোনা আক্রান্ত ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা ৬৬ বছরের রাজিয়া হোসেনকে গত সোমবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 


পরিবারের দাবি, প্রথম দু’ দিন রোগিণীর সঙ্গে ফোনে কথাও হয়। কিন্তু গত দু’ দিন ধরে তিনি ফোন ধরছিলেন না। এরপর গতকাল হাসপাতালের তরফে পরিজনেদের জানানো হয় অক্সিজেনের অভাবে ওই রোগিণীর মৃত্যু হয়েছে। 


পরিবারের অভিযোগ, রোগিণীর মাথায় ক্ষত রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই রোগিণীর। ঠাকুরপুকুর থানায় এনিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


এদিকে, এদিনই মুর্শিদাবাদেও চিকিৎসা গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যুর অভিোযোগ উঠেছে। 


জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে নার্সিংহোমে এক রোগীকে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সেখানে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই মৃত্যু হল রোগীর।


নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবার। পরে বহরমপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। 


গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই ওই রোগীর মৃত্যু হয়। 


গতকাল, চিকিৎসার গাফিলতিতে করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল চিংড়িঘাটার টেকনো ডামা হাসপাতালের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য কমিশনেও অভিযোগ জানায় পরিবার।


পরিবারের দাবি, ৫ মে করোনা আক্রান্ত দক্ষিণ কলকাতার এক বৃদ্ধ ভর্তি হন এই বেসরকারি হাসপাতালে। ১০ মে তাঁর মৃত্যু হয়। 


মৃতের মেয়ের অভিযোগ, রাইলস টিউব পরানোর সময় বিভ্রাটের জেরে মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, অক্সিজেনের মাস্ক থাকা অবস্থায় রাইলস টিউব পরাতে গিয়ে গন্ডগোল হয়, তার জেরেই বাবা মারা যয়া। 


রোগীর পরিবারের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সুপার প্রসেনজিৎ বর্ধন রায় বলেন, রাইলস টিউব পরানোর পরিস্থিতির আগে ওই রোগীর অবস্থার অবনতি থাকে, ফুসফুস অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় ছিল শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে মৃত্যু হয়।