কলকাতা : রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে বলে দিনকয়েক আগে বার্তাও দিয়েছে চিকিৎসক মহল। এই পরিস্থিতিতেও বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে কোভিড-বিধি লঙ্ঘনের ছবি।


সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের ওপর শোভাবাজার পুরনো কাপড়ের হাট। সাতসকালে সেখানে দেখা গেল, অসচেতনতার ছবি। ভিড়ের কারণে উধাও দূরত্ব বিধি। ক্রেতা-বিক্রেতা অধিকাংশেরই মুখে নেই মাস্ক। কয়েক মিনিটের দূরত্বে গিরিশ পার্ক থানা। যদিও পুলিশের নজরদারি চোখে পড়েনি।


কোভিড বিধি উপেক্ষা করে বারাসাতের বাদুতে পুলিশ ফাঁড়ির কাছেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল। অধিকাংশেরই মুখে ছিল না মাস্ক। উধাও দূরত্ব বিধি। গতকাল বাদু পুলিশ ফাঁড়ির কাছেই এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কোভিড পরিস্থিতিতে এ ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমতি কী করে মিলল, উঠছে প্রশ্ন। উদ্যোক্তাদের দাবি, পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠান, তাই বাতিল করা যায়নি। কোভিড সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনেই সব আয়োজন করা হয়েছে।


কলকাতায় শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকার শর্ট স্ট্রিটেও ধরা পড়ল অসচেতনতার ছবি। মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন লেখা বাড়ির চারদিকে গার্ডরেল। রয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা। এর মধ্যেই মাস্ক ছাড়াই দেখা গেল এক ডেলিভারিম্যানকে। আশপাশের এলাকাতেও বিনা মাস্কেই ঘোরাফেরা করছেন অনেকে। তাঁদের সতর্ক করে পুলিশ।


বালিগঞ্জের রিচি রোডে বাড়ির সামনে লেখা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন। সামনে গার্ডরেল। তার সামনেই বিনা মাস্কে চলছে ঘোরাফেরা।


কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে পড়ুয়া, ডাক্তার ও নার্স মিলিয়ে করোনা আক্রান্ত আরও ১৭


রাজা বসন্ত রায় রোডে তৈরি হয়েছে কনটেনমেন্ট জোন। সেখানেও দেখা গেল অসচেতনতার ছবি। এদিন টালিগঞ্জ থানার পুলিশ মাইকে প্রচার করার পর বাড়ির সামনে গার্ডরেল বসিয়ে দেয়। পুলিশ চলে যেতেই দেখা যায়, বিনা মাস্কে গার্ডরেল সরিয়ে গাড়ি বের করছেন বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী। প্রচার সত্ত্বেও যে অনেকের হুঁশ ফেরেনি, এই ছবিতেই তা স্পষ্ট।


উত্তর ২৪ পরগনার ৪১টি কনটেনমেন্ট জোনের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি বিধাননগর এলাকায়। সল্টলেক একে ব্লকের ১৩১ ও ১৩২ নম্বর বাড়িকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা। দুটি বাড়ির মেন গেট গার্ডরেল দিয়ে ঘেরা। যদিও বাড়ির বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা দেখা গেল না। মাস্ক ছাড়াই চলছে ঘোরাফেরা। ক্যামেরা দেখে কেউ তড়িঘড়ি পরলেন মাস্ক, কেউ দিলেন মাস্ক না পরার জন্য দিলেন অজুহাত।