ঋত্বিক মণ্ডল, কলকাতা: বাংলায় করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও, এখনও বেশ কিছু এলাকা প্রশাসনের মাথাব্যথা। সংক্রমণে লাগাম টানাতে সেই সব এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়েছে। ১৬ জেলায় তৈরি করা হয়েছে ২৫১টি জোন।


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব কিছুটা কমায়, লকডাউন শিথিল হয়েছে দিল্লি, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ-সহ বেশ কিছু রাজ্যে। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন খোদ এইমসের ডিরেক্টর।


বাংলায় কার্যত লকডাউন চললেও, দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ ক্রমশ নিম্নমুখী হওয়ায় কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণের হার কমলেও, এখনও বেশ কিছু এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে রয়েছে উদ্বেগ। যেখানকার সংক্রমণের হার অনেকটাই বেশি। এই পরিস্থিতিতে ১৬ জেলায় ২৫১টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। যেসব জায়গায় এখনও প্রকোপ রয়েছে সেখানে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকালই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা মুখ্যসচিবদের চিঠিতে জানিয়েছেন, কোনও ছোট অঞ্চল বা এলাকায় সংক্রমণের অবস্থা বুঝে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন অনুযায়ী স্থানীয় কনটেইনমেন্ট জোন করা যাবে।


বঙ্গে সবচেয়ে বেশি করোনার সংক্রমণ দেখা গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। সেখানে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ১৭টি। পূর্ব বর্ধমানে ২২টি এবং হাওড়ায় ১৮টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে। বিধাননগর পুরসভার কেষ্টপুরের রবীন্দ্রপল্লি এলাকায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের আওতায়। সেখানেও শুরু হয়েছে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ। পাশাপাশি সংক্রমিত এলাকায় ভ্যাকসিনেশন, র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময় কনটেনমেন্ট জোনের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল রাজ্যবাসী। এবার সংক্রমণ রুখতে তৈরি করা হল মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন। বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, এক সপ্তাহে ১৫টি কেস হয়েছে, সচেতন করতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, মানুষকে সুরক্ষিত থাকতে কাজ করছি, মাস্ক পরাতে জোর দেওয়া হয়েছে। বেরোতে না বলা হয়েছে।  স্যানিটাইজেশন হচ্ছে। বিধাননগরের রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা প্রবীর মজুমদার বলেন, গত সপ্তাহ থেকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন, এখন আরও কমে এসেছে।