সন্দীপ সরকার, কলকাতা: বেলেঘাটা আইডি-তে পড়ে নষ্ট হচ্ছে প্রায় কোটি টাকা দামের অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ। করোনা আবহে অন্য রোগে আক্রান্তদের হাসপাতালে আসার প্রবণতা কমায় এই বিপত্তি বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেয়াদ ফুরোনোর আগে মজুত ওষুধ অন্য হাসপাতালে কাজে লাগানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।


সব ধরনের সংক্রামক রোগ ছাড়াও যে কোনও পশুর কামড়ের চিকিত্সা হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। কিন্তু রাজ্যে করোনার ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় থেকে এই হাসপাতালে কোভিড রোগীদের ভিড় বেড়েছে। ২০২০-র শুরুতেই বেলেঘাটা আইডি-কে করোনা চিকিত্সায় নোডাল হাসপাতাল ঘোষণা করে স্বাস্থ্য দফতর। ধাপে ধাপে বাড়ানো হয় কোভিড বেডের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে কমেছে নন-কোভিড বেড। ফলে বেলেঘাটা আইডি-তে অন্য রোগে আক্রান্তদের ভিড় কমতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে অন্য রোগের ওষুধ অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


হাসপাতাল সূত্রে খবর, কোনও কোনও ওষুধ একমাসের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কোনও ওষুধের মেয়াদ সামান্য বেশি। তবে তা ২ থেকে ৩ মাস। ওষুধ দ্রুত কাজে লাগানোর জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনকে বিষয়টি জানিয়ে গত শুক্রবার চিঠি দিয়েছে তারা। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ১৩ ধরনের রোগের ৫০ হাজার ওষুধ বেলেঘাটা আইডি-তে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। যার মেয়াদ ফুরোবে আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে। এর মধ্যে রয়েছে হাম, ধনুষ্টঙ্কার, সিওপিডি, রক্তচাপ কমানো-সহ নানা অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ।


বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের অধ্যক্ষা অণিমা হালদার জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে হাসপাতালে অন্য রোগীদের আসার প্রবণতা কমেছে। এই পরিস্থিতি ওই সব রোগের ওষুধ প্রয়োজন হয় না। ফলে এই ওষুধগুলি অব্যবহৃত থেকে যায়। এদিক ওই ওষুধগুলির মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে বলে জানান তিনি। অধ্যক্ষা বলেন, মেয়াদ ফুরোনোর আগে যাতে ওষুধগুলোকে কাজে লাগানো যায় তাই স্বাস্থ্য ভবনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।