ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: কলকাতায় নতুন সাইবার প্রতারণার ফাঁদ। ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে ৫২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। বিহার থেকে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানার হাতে গ্রেফতার অভিযুক্ত।


অভিযোগ, ভুয়ো ওয়েবসাইট এবং মেল আইডি খুলে চলছিল প্রতারণার কারবার। ব্যবসার জন্য জিনিস কিনতে গিয়ে প্রতারকদের ফাঁদে পা দেন অভিযোগকারী। অর্ডার করা জিনিস নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারকরা ৫২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। অভিযোগকারীর দাবি, টাকা জমা পড়ে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক ও তাইল্যান্ডের দুটি বিদেশি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে।


আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত ব্যক্তি মুম্বই থেকে অপারেশন চালালেও, বিহারের দ্বারভাঙার সঙ্গে তার যোগ রয়েছে। এরপর মধুপুর ও দ্বারভাঙায় তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তের সন্ধান মেলে। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর ভুয়ো নথি। এই চক্রের জাল কতদূর, সেটা বিস্তৃত খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


সাইবার প্রতারণার নতুন ফাঁদ। ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে প্রতারণার অভিযোগ। কলকাতার ব্যবসায়ীর ৫২ লক্ষ টাকা গায়েব। বিহার থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত।


বিশ্বাস অর্জনের জন্য ভুয়ো ওয়েবসাইট ও ভুয়ো মেল আইডি খুলে পাতা হয় প্রতারণার ফাঁদ। আর সেই ফাঁদেই পা দিয়ে বসেন কলকাতার এক ব্যবসায়ী।


পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যবসার প্রয়োজনে দামি কিছু জিনিসপত্র কেনার জন্য ওই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্ডার করেন ব্যবসায়ী। তাঁর দাবি, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক ও তাইল্যান্ডের দুটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে তিনি দফায় দফায় ৫২ লক্ষ টাকা জমা দেন। কিন্তু তাঁর কাছে কোনও জিনিস এসে পৌঁছয়নি। প্রতারিত হয়েছেন বুঝে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী।


তদন্তে নেমে অভিযুক্তর IP অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারেন অভিযুক্ত মুম্বইয়ে বসে অপারেশন চালাচ্ছেন। কিন্তু বিহারের দ্বারভাঙার সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র রয়েছে। এরপর মধুপুর ও দ্বারভাঙায় তল্লাশি চালিয়ে খোঁজ পেলে অভিযুক্ত শিবু রায়ের। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। তাঁর আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযুক্ত একাই এই প্রতারণার কারবার চালাচ্ছিলেন, না কি, এই চক্রে আরও কেউ জড়িত, সে বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।