ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, সমিত সেনগুপ্ত, জয়ন্ত পাল,কলকাতা :ইয়াসের জেরে দুর্যোগের আশঙ্কা। শহরে দুপুর ১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকল মা, পার্ক স্ট্রিট, গড়িয়াহাট-সহ কলকাতার ৯টি উড়ালপুল। সন্ধেয় খুলল কলকাতা বিমানবন্দর।
গতবছর ৬ ঘণ্টার ঝড়ে তছনচ হয়ে গিয়েছিল কলকাতা।এবারও সেই আশঙ্কাই ছিল।শুরু থেকেই এবার তাই আরও সতর্ক ছিল প্রশাসন। কিন্তু এবার শহরবাসীকে স্বস্তি দিয়ে কলকাতাকে না ছুঁয়েই পথ বদলাল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। 
বুধবার সাত সকালেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডব-আশঙ্কায় কলকাতার ৯টি উড়ালপুল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সকাল থেকেই যানশূন্য হয়ে পড়ে উড়ালপুলগুলি। 
ওড়িশার বালেশ্বরে তখন তাণ্ডব শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস।কলকাতায় তখন ঝিরঝিরে বৃষ্টি! 
বন্ধ করে দেওয়া হয়, গার্ডেনরিচ উড়ালপুল,তারাতলা উড়ালপুল,গড়িয়াহাট উড়ালপুল,পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুল,এজেসি বোস উড়ালপুল,উল্টো-ডাঙা ও লকগেট উড়ালপুল,চিংড়িহাটা ও মা উড়ালপুল।
দুর্যোগের আশঙ্কা থাকলেও মুমুর্ষু রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছতে এই ফ্লাইওভার গুলির বিকল্প নেই। তাই দুর্ঘটনার আশঙ্কা কাটতেই ফের দুপুর ১টা নাগাদ উড়ালপুলগুলি খুলে দেওয়া হয়। 
গত বছর ২০শে মে  রাজ্যে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আমফান। রেহাই পায়নি কলকাতা বিমানবন্দরও।জলের তলায় চলে গিয়েছিল রানওয়ের কিছুটা অংশ।এবার তাই শুরু থেকেই আরও সতর্ক ছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।বিপদের আঁচ পেয়ে আগেভাগেই বন্ধ করে দেওয়া হয় বিমান চলাচল। বুধবার সকাল ৮টা ১৫য় শেষবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিশাখাপত্তনমের উদ্দেশ্যে উড়ে যায় বিমান।এদিন রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। 
এদিকে বিপদ রুখতে প্রস্তুতির অন্ত ছিল না। বেঁধে রাখা হয় বিমানের চাকা।আমফানের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে প্রপেলারগুলো ত্রিপল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। যাতে হাওয়া ঢুকে বিমানের ক্ষতি না হয়। এবার আগেই মেরামত করা হয় হ্যাঙ্গারগুলি।
তবে অন্য রাজ্যে কানেক্টিং ফ্লাইট বন্ধ না হওয়ায়, সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। এদিকে বৃহস্পতিবার ‍ভোর ৫টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর। 
তবে ঝড়ের আশঙ্কা কাটার পর নির্ধারিত সময়ের আগেই বিমান চলাচল শুরু হয়ে যায়। পৌনে আটটা নাগাদ আমেদাবাদ থেকে আসা বিমান প্রথম অবতরণ করে। এরপর ৮.৩৮ টা নাগাদ প্রথম বিমান কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রওনা দেয়। কলকাতা বিমান বন্দরের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে উড়ানের সূচীর জন্য সংশ্লিষ্ট বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়।