সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : আজ থেকে শুরু হল পোস্তার বিপর্যস্ত উড়ালপুল ভেঙে ফেলার কাজ। তার জেরে, এই এলাকায় নিয়ন্ত্রিত যান চলাচল। মহর্ষি দেবেন্দ্র রোড, কে কে টেগোর স্ট্রিট ও গণেশ টকিজ হয়ে গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও দ্বিমুখী করে দেওয়া হয়েছে মহাত্মা গান্ধী রোডকে।


৫ বছর আগে, ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ, দিনের ব্যস্ত সময়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পোস্তার নবনির্মিত উড়ালপুলের একাংশ। ভয়াবহ সেতু বিপর্যয়ে মৃত্যু হয় ২৭ জনের। তারপর দীর্ঘ সময় ধরে এভাবেই রয়ে গেছে উড়ালপুলের ভাঙা অংশ। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা যায়, না পুনর্নির্মাণ সম্ভব, না মেরামতি। অগত্যা বিপর্যস্ত পোস্তা উড়ালপুলের বাকি অংশও ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল KMDA। সেই মতো, মঙ্গলবার থেকে শুরু হল, পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার প্রথম দফার কাজ। তার জেরে, পোস্তা এলাকায় যান চলাচল প্রায় বন্ধ। ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে গাড়ি। 


কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, ঘুরপথে, মহর্ষি দেবেন্দ্র রোড, কে কে টেগোর স্ট্রিট ও গণেশ টকিজ হয়ে গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও মহাত্মা গান্ধী রোডকে দ্বিমুখী করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকেই উড়ালপুল সংলগ্ন এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। KMDA সূত্রে খবর, ভাঙার কাজ চলবে ৪ দফায়। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, গোটা বিষয়টি হবে রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিস বা রাইটস-এর তত্ত্বাবধানে। 


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক পার্থ প্রতিম বিশ্বাস বলেছেন, 'ডায়মন্ড কাটিং পদ্ধতিতে নামানো হবে। এক্ষেত্রে কম্পন খুবই গিরিত্বপূর্ণ। বাড়ি গায়ে গায়ে। ভিত গভীর নয়। বাসিন্দাদের সরিয়ে নিলেই ভালো। সামান্য কম্পনেও ক্ষতি হবে। পথচারীদের যাওয়া আসা বন্ধ রাখা উচিত। বড় বড় গার্ডার নামানোর সময় ব্যালেন্সিংয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।'


কলকাতার বুকে এভাবে উড়ালপুল ভেঙে ফেলা কার্যত নজিরবিহীন। বিশেষ করে শহরের অন্যতম ব্যস্ততম এলাকায় অবস্থিত উড়ালপুল ভেঙে ফেলার পথে একাধিক সতর্কতা অবলম্বন করেই এগোনো হচ্ছে।