কলকাতা : স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় এসএসসি-র (SSC) সচিবকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন, সিবিআইকে (CBI) তদন্ত করতে বলব। সিআইএসএফকে বলব আপনাদের অফিসের দখল নিতে। পুর কমিশন বরখাস্ত করে দেব। এনিয়ে এবার শুরু হল রাজনৈতিক তরজা। রাজ্য সরকারকে একহাত নেন দিলীপ ঘোষ।


তিনি বলেন, "তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার ১০ বছরের মধ্যে যত পরীক্ষা হয়েছে, সব জায়গায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। একটা পরীক্ষাও সুষ্ঠুভাবে করতে পারেনি। পরীক্ষা হয়েছে অথচ তার ফলাফল ঠিক সময়ে বেরোয়নি। রেজাল্ট বেরোলেও নিয়োগ হয়নি। এই যে ব্যাপক দুর্নীতি, শিক্ষা বিভাগের সমস্ত স্তরে ছেয়ে গিয়েছে।"


অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, "যদি ত্রুটি থাকে, তবে এসএসসি-র আদালতের নির্দেশ মেনে চলা উচিত।"


স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র সচিবকে তীব্র ভর্ত্‍‍সনা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি-মামলায় ভর্ত্‍‍সনা এসএসসি (SSC) সচিবকে। মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন,  ‘আপনাদের উপর আমাদের ভরসা নেই। আপনারা কী তদন্ত করবেন আমি জানি। রোজই কিছু না কিছু অনিয়ম সামনে আসছে। এই মামলায় সিবিআই-কে তদন্ত করতে বলব। সিআইএসএফ-কে বলব আপনাদের অফিসের দখল নিতে। পুরো কমিশন বরখাস্ত করে দেব। নিয়োগ নিয়ে এই দুর্নীতি চলতে পারে না’। 


উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গড়ে তদন্তের আর্জি রাজ্যের। তদন্তে আরও সময় চান এসএসসি-র আইনজীবী কিশোর দত্ত। 


উল্লেখ্য, গতকালই গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ মামলায়  মামলায় SSC-কে CBI তদন্তের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ থেকে ১৯-এর মধ্যে স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় SSC। সময়সীমা পেরনোর পরেও গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ হয়েছে। এই অভিযোগে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। গতকাল মামলার শুনানিতে কমিশনের সচিবকে হাজিরার নির্দেশ দেয় আদালত। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে, মামলার তদন্তভার CBI-কে দেওয়া হতে পারে বলে SSC-কে সতর্ক করে দেয় হাইকোর্ট।