কলকাতা : ফের বিজেপিতে ভাঙন-জল্পনা। সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরক প্রবীর ঘোষাল ( Prabir Ghoshal )। তাঁর দাবি, বিজেপিতে আমি মানসিকভাবে নেই। রাজনৈতিক দল, কিন্তু ভিতরে যা কিছুর মুখোমুখি হয়েছি, তা ভয়ঙ্কর!!
বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ত্যাগী প্রবীর ঘোষালের দাবি,' আমাদের মতো লোকের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। এত বিড়ম্বনায় পড়তে হবে ভাবতে পারিনি। এত কমিটি ভোটের সময় টাকা টাকা করে পাগল করে দিয়েছিল, এত খারাপ অবস্থা ভাবতে পারিনি।'
এর পাশাপাশি, তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন প্রবীর ঘোষাল। এর আগে তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন, কেন বিজেপি করা যায় না! ওখানে কাজ করার থেকে টাকা চাওয়ার লোক বেশি। বিধানসভা ভোটের আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন প্রবীর ঘোষাল। বিজেপির টিকিটে উত্তরপাড়া কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।
আরও পড়ুন:
আবারও ধাক্কা হাওড়া-বিজেপিতে ! দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বহিষ্কৃত সুরজিৎ সাহার ঘনিষ্ঠ বিমল প্রসাদ
এর আগে ৩১ অক্টোবর, ৯ মাস পর, তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তুলে নেন জোড়াফুলের পতাকা। আর পুরনো দলে ফিরেই তীব্র আক্রমণ শানান বিজেপিকে। রাজীব তখন বলেছিলেন, 'বলা হয়েছিল বাংলার উন্নয়ন করলে ভারতীয় জনতা পার্টি করবে, ঢোকার আগে অনেক কথা বলা হয়েছিল, শিল্প হবে বেকারের চাকরি হবে, আমি যে ভুল করেছি চাই না ভারতবর্ষের মানুষ এই ভুলটা করুক'।
বিধানসভা ভোটের পরে একে একে বিজেপি ছেড়েছেন মুকুল রায়, বাবুল সুপ্রিয়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের সবার ঠিকানা আপাতত তৃণমূলে। সম্প্রতি দল ছেড়েছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তীও। এবার কি সেই পথে হাঁটবেন একদা তৃণমূল ত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষালও?