পার্থ প্রতিম ঘোষ, কলকাতা: মাদককাণ্ডের তদন্তে এবার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করল পুলিশ। সূত্রের খবর,কলকাতা ও কলকাতার বাইরের বিভিন্ন জায়গা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে, মাদক মামলায় তিনটি রাজ্যেও তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।


মাদক চক্রের নাগাল পেতে আরও আঁটঘাট বেঁধে নামল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ, ভিন রাজ্যে তল্লাশি থেকে বিভিন্ন জনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ, রহস্য উদ্ঘাটনে চলছে সব কিছুই।


 


সূত্রের খবর,মাদককাণ্ডে কলকাতা ও কলকাতার বাইরের বিভিন্ন জায়গা থেকে সিসিটিভি  ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এরমধ্যে রয়েছে ধৃত যুব তৃণমূল নেত্রী পামেলা গোস্বামী ও বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহর বাড়ির আশপাশ থেকে সংগ্রহ করা সিসিটিভি ফুটেজও। জানা গেছে, মাদককাণ্ডে শুধু এরাজ্য নয়, ভিন রাজ্যেরও যোগ পেয়েছেন লালবাজারের কর্তারা। সেই সূত্রে তিনটি রাজ্যে তল্লাশি চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।


মাদক কারবারের অভিযোগে গত শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় বিজেপি যুব মোর্চার নেত্রী পামেলা গোস্বামীকে।এরপর পামেলার অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে গলসি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহকে।


মাদককাণ্ডে রাজনীতিকদের যোগের অভিযোগ সামনে আসতেই তার শিকড়ের সন্ধানে প্রায় ২৪ জনের নামের তালিকা তৈরি করেছে লালবাজার।


তারমধ্যে ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।


 


এদিকে, পামেলা গোস্বামীর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ৯০ গ্রাম কোকেন  গোয়েন্দাদের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে,বেশ কয়েকবছর আগে সর্বাধিক ২৬ গ্রাম মাদক উদ্ধার হয়েছিল এ রাজ্যে।


এবার ধৃত যুব বিজেপি নেত্রীর কাছ থেকে সাড়ে তিন গুণ বেশি মাদক উদ্ধার হয়েছে। ধৃত পামেলা গোস্বামীর অবশ্য দাবি, বিজেপি নেতা রাকেশ সিংই তাঁকে ফাঁসিয়েছে। আপাতত মাদককাণ্ডে ধৃত বিজেপির দুই নেতা-নেত্রীই পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।