অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: পুজোয় ফের চমক শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের। উমার গায়ে ৪৫ কেজি সোনার গয়না। যার বর্তমান বাজারদর প্রায় ২০ কোটি টাকা। আজই প্রকাশিত হল ক্লাবের পুজোর গান।
করোনা আবহে আসছে উমা। এক বছর পর মেয়ে আসছে বলে কথা। বাপের বাড়িতে তাই সাজ সাজ রব। শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে সকাল থেকেই ভীষণ ব্যস্ততা। এবারও সোনার গয়নায় সাজানো হচ্ছে মা-কে। প্রতিমা সাজছে প্রায় ৪৫ কেজি সোনার গয়নায়৷ যার বর্তমান বাজারদর প্রায় ২০ কোটি টাকা।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই গয়নার জন্য কোনও খরচই হচ্ছে না৷ গয়না দিয়েছে নামী একটি অলঙ্কার প্রস্তুতকারী সংস্থা। পুজোর পর সবই ফেরত নিয়ে যাবে তারা। শ্রীভূমি স্পোর্টিং-এর এবারের মণ্ডপ হয়েছে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার আদলে। পুজোর উদ্যোক্তা ও দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। এ দিনই প্রকাশিত হয় ক্লাবের পুজোর গান। গান গেয়েছেন অভিজিত্। সুর দিয়েছেন জিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নিলে, তবেই মণ্ডপে ঢুকে অঞ্জলি, সিঁদুরখেলা। বড় প্যান্ডেলে সর্বাধিক ৪৫, ছোট মণ্ডপে সর্বোচ্চ ১০ জন থাকতে পারবেন, নতুন নির্দেশিকা কলকাতা হাইকোর্টের। নিয়ম মানা না হলে পুজোর অনুমতি বাতিল করতে পারবে পুলিশ।
আপনার কি করোনার ভ্যাকসিনের ডবল ডোজ কমপ্লিট? তাহলে এই পুজোয় পাবেন বেশ কিছুটা ছাড়। দু’টি টিকা নেওয়া থাকলে মণ্ডপে ঢুকে দেওয়া যাবে অঞ্জলি। অংশ নেওয়া যাবে সিঁদুর খেলায়। দুর্গা পুজো নিয়ে নতুন নির্দেশিকা দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত নির্দেশিকায় জানিয়েছে, অঞ্জলি, আরতি, সিঁদুর খেলা সহ সমস্ত আচার-উপচার করতে পারবে পুজো কমিটিগুলি। সেই সময় কারা প্যান্ডেলের মধ্যে থাকবেন, তার তালিকা আগে থেকে তৈরি রাখতে হবে। বড় প্যান্ডেলের ক্ষেত্রে তৈরি করতে হবে ৬০ জনের নামের তালিকা। সেই তালিকা থেকে একসঙ্গে মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন ৪৫ জন। আর ছোট প্যান্ডেলের ক্ষেত্রে তৈরি করতে হবে ১৫ জনের নামের তালিকা। সেই তালিকা থেকে একসঙ্গে ঢুকতে পারবেন সর্বাধিক ১০ জন।
যাঁরা মণ্ডপে ঢুকবেন, যাঁরা অঞ্জলি বা সিঁদুরখেলায় অংশ নেবেন, তাঁদের সবার করোনার টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া থাকতেই হবে এবং সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। নিয়ম মানা না হলে পুলিশ পুজোর অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
গত বছর, করোনা-পরিস্থিতিতে, রাজ্যের সর্বত্র পুজো-মণ্ডপে দর্শকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই বিধিনিষেধে সুফল মিলেছিল, এই দাবি করে এবছর আদালতের দ্বারস্থ হন অজয়কুমার দে নামে এক ব্যক্তি। আগের বছরের নির্দেশ বহাল রাখার জন্য আদালতে আবেদন জানান তিনি। গত সপ্তাহে আদালতের প্রশ্নের মুখে রাজ্য জানায়, করোনা আবহের কথা মাথায় রেখে আদালত যদি দর্শকদের মণ্ডপে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা দেয়, তবে সরকারের কোনও আপত্তি থাকবে না। তারপরই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, করোনা সংক্রান্ত গতবারের বিধিনিষেধ মেনেই পুজো হবে এবার।