কলকাতা: রাজ্যে করোনায় দৈনিক সংক্রমণ আটশোরই কাছে। রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭১ জন। এ নিয়ে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫,৭৪,০১৭ জন। গতকাল রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৮৬। এই সময়পর্বে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। গতকাল প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৫ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৮,৮৭৬ জন। 


সরকারি বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে এই সময় পর্বে সুস্থতার হার ৯৮.৩২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৫৬ জন। এ নিয়ে রাজ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫,৪৭,৫৪৮ জন। আক্রান্তের নিরিখে রাজ্যে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা।কলকাতায় একদিনে ১৫৫ জন সংক্রমিত, ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে ১৪৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন, ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। 


উত্সবের মরশুমে দেশে করোনায় প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। দৈনিক মৃত্যু বাড়ল প্রায় ১৫ শতাংশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৪৩১ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩১৮ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৪৯ হাজার ৮৫৬ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৮ লক্ষ ৯৪ হাজার ৩১২। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৯৮। যা গত সাড়ে ৬ মাসে সর্বনিম্ন। এরইমধ্যে দেশে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৩২ লক্ষ ২৫৮ জন। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ২৪ হাজার ৬০২ জন। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৮ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৬৯ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ কোটি ৬৪ লক্ষ ৫০ হাজার ২২৪।


উল্লেখ্য, দেশের গড় ভ্যাকসিনেশনের চেয়ে বাংলার টিকাকরণের হার কম, দেশে ভ্যাকসিনেশনের হার ৭১ শতাংশ হলেও ৫ রাজ্যে ৬০ শতাংশের কম। রিপোর্ট বলছে, বাংলা-সহ ৫ রাজ্যে ৬০ শতাংশের কম ভ্যাকসিনেশনের হার। করোনার টিকাকরণের হার নিয়ে নীতি আয়োগের মন্তব্য, 'কোথাও টিকার অভাব নেই, বাড়াতে হবে ভ্যাকসিনেশনের হার।'


করোনা থেকে বাঁচতে একমাত্র পথ টিকাকরণ। মৃত্যু এড়াতে প্রথম ডোজে ভাকসিনের কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশের বেশি। দ্বিতীয় ডোজের কার্যকারিতা প্রায় ১০০ শতাংশ। এমনই দাবি করেছে কেন্দ্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পাল। পাশাপাশি করোনা সতর্কতা মেনে স্কুল খোলার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি। তবে স্কুল খুলতে গেলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের টিকাকরণ বাধ্যতামূলক, পরামর্শ দিয়েছেন কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান।