কলকাতা: পুজোর সময় কোভিড বিধিনিষেধ আরও কিছুটা শিথিল করল রাজ্য সরকার। পঞ্চমী থেকে স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী খোলা থাকবে দোকান, রেস্তোরাঁ ও পানশালা। দেরিতে পানশালা বন্ধ করতে হলে অনুমতি নিতে হবে। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত চালু থাকবে এই নিয়ম। বিজ্ঞাপ্তি জারি করে জানিয়েছে নবান্ন।
করোনাকালের জেরে রাজ্যে জারি বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও একমাস বাড়ানো হলেও পুজোর দিনগুলোর জন্য রাশ আলগা করা হয়েছে নৈশ নিয়ন্ত্রণে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত গোটা রাজ্যে কোভিড নিয়ন্ত্রণে জারি বিধিনিষেধ জারি থাকবে। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, আগামী ১০ থেকে ২০ অক্টোবর নৈশ নিয়ন্ত্রণ আগলা করা হচ্ছে। উৎসবের মরশুমের কথা মাথায় রেখে জনসাধারণ ও গাড়িঘোড়ার রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বাইরে বোরনোর ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে না। অর্থাৎ মহাপঞ্চমী থেকে লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত রাজ্যে নৈশকালীন নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে না।
এর আগেও একগুচ্ছ বিধিনিষেধ আরোপিত হয়েছে। এবারও পুজো মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’। বাইরে থেকে দেখতে হবে প্রতিমা। হাইকোর্টের শেষ মুহূর্তের এই নির্দেশে কিছুটা উদ্বিগ্ন পুজো উদ্যোক্তারা। বিদ্বজ্জনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে, এই নির্দেশিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে চিকিৎসকমহল।
এবারও দুর্গাপুজোয় মণ্ডপে ঢুকে প্রতিমা দর্শন করা যাবে না। করোনা বিধিনিষেধ মেনেই করতে হবে পুজো। হাইকোর্টের এই নির্দেশে কিছুটা উদ্বিগ্ন পুজো উদ্যোক্তারা। গত বছর এরকমভাবে প্যান্ডেল ছিল। দূর থেকে কেউ ঠাকুর দেখতে পারেননি। এবার মণ্ডপ ঘোরানো হয়েছে। বেশ কিছু উদ্যোক্তা আবার আগের বারের নির্দেশের কথা ভেবে, আগে ভাগেই প্রস্তুতি সেরেছে। কিন্তু, মণ্ডপে দর্শক না এলে শিল্পের আর কী গুরুত্ব থাকবে? তাই, হাইকোর্টের নির্দেশে কিছুটা হলেও মন খারাপ শিল্পীদের। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে
পুজো মানে হইচই, আনন্দ। সঙ্গে পেট পুজো। ভোজন রসিকদের জন্য সুখবর। পুজোর মুখেই নতুন আউটলেটে সিগনেচার ডিশ নিয়ে হাজির সিক্স বালিগঞ্জ প্লেস ও আউধ। এবার চৌরঙ্গী ও সোদপুরে মিলবে দুই রেস্তোরাঁর লোভনীয় খাবার। তালিকায় রয়েছে আরও নামি-দামি রেস্তোরাঁ।
তবে করোনার চিন্তার পিছু ছাড়ছে না, রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭৬ জন, মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৬২ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় এই সংখ্যা ১২৭।