কলকাতা: আজ মহাষ্টমী। মণ্ডপে মণ্ডপে মাইকে চলছে স্তোত্রপাঠ৷ সাড়ম্বরে হচ্ছে দেবী বন্দনা। দিকে দিকে নেওয়া হচ্ছে পুষ্পাঞ্জলীর প্রস্তুতি।


আজই বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে কুমারী পুজোও হচ্ছে৷ দিকে দিকে দীপের আলোয় উমা বরণ চলছে।  আর দু’দিন বাকি পুজোর। উত্‍‍সবের সুরে ভাসতে প্রস্তুত তিলোত্তমা৷


বেলুড় মঠে মহাষ্টমীর পুজোর অন্যতম আকর্ষণ কুমারি পুজো৷ বেলুড়ে প্রথম কুমারী পুজো চালু করেন স্বামী বিবেকানন্দ৷ 


১৯০১ সালে মা সারদার উপস্থিতিতে শঙ্খ, বাদ্য, অর্ঘ, বলয় ও বস্ত্রাদি সহযোগে ৯ জন কুমারীকে পুজো করেছিলেন তিনি৷ সেই থেকেই এই পুজো নিষ্ঠা সহকারে পালন করে চলেছে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ৷ 


আরও পড়ুন: আজ কোভিড বিধি মেনে বেলুর মঠে কুমারী পুজো, জেনে নিন কখন, কীভাবে দেখবেন


মহাষ্টমী ও মহানবমীর মিলন মুহূর্তে সন্ধিপুজো৷ রীতি মেনে বাড়ি ও বারোয়ারি পুজোয় সন্ধিপুজো হয়। এই পুজোয় দেবীকে দেখানো হয় চামুণ্ডা রূপে। 


প্রতিমার উদ্দেশে অর্পণ করা হয় ১০৮টি পদ্ম ও ১০৮টি দীপ৷ কলকাতা থেকে কোচবিহার, মালদা থেকে মেদিনীপুর-সর্বত্রই সন্ধিপুজোর আচারে রীতি ও ঐতিহ্য অটুট৷ 


এদিকে, অষ্টমীতেই দক্ষিণবঙ্গে ফের অসুর রূপে দেখা দিতে পারে বৃষ্টি। আজ থেকে উপকূলের জেলায় মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। নবমীতে কলকাতায় হতে পারে বৃষ্টি। এমনই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। 


পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার অষ্টমীর দিন আন্দামান সাগরের উপর ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর ধীরে ধীরে সেটি ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকে যাবে। যার ফলে অষ্টমীতে উপকূলের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। 


নবমীর দিন বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমাণ। উপকূল থেকে ভিতরের জেলাগুলিতে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তারপর দশমী ও একাদশীতে দক্ষিণবঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে।


আপাতত উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গে ১৪-১৫ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শুধুমাত্র মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। দক্ষিণবঙ্গে আজ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা উপকূলের জেলায়। ১৪ তারিখ থেকে হয়ত বাড়বে। একেবারে উপকূল জেলায় হালকা-মাঝারি বৃষ্টি ও একেবারের ভিতরের জেলায় হালকা বৃষ্টি। ১৬ থেকে বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। 


বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাহলে কি পুজোর বাকি দিনগুলি মাটি হবে? প্রমাদ গুণছে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা।