কলকাতা: পুজো মানেই এখন নতুনত্বের লড়াই। করোনা আবহে যাবতীয় সতর্কতা মেনে চলছে উমার আরাধনা। এরই মাঝে দর্শকদের মন জিতে নেওয়ার লড়াইয়ে সেরা পুজোগুলি পেল শারদ আনন্দ সম্মান।
অজেয় সংহতির পুজোর এবার ৬১ তম বর্ষের থিম-- দুগ্গা এল, দেখতে চলো। মণ্ডপে তখনও নামানো হয়নি লক্ষ্মী-সরস্বতীকে। এই পুজো প্রস্তুতির ফাঁকেই বাবার সাইকেলে চড়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছে দুই ছেলেমেয়ে। ২৫ বছর আগে একটা পাড়ায় কীভাবে দুর্গাপুজো হতো, একটি পরিবারের চোখ দিয়ে তাকে দেখা। আবহ নির্মাণে সেরার শারদ আনন্দ সম্মান জিতে নিল অজেয় সংহতির পুজো।
৭৬ বছরের পুজো আলিপুর সর্বজনীন। এবারের থিম, ইন্দ্রচ্ছটা। মণ্ডপ জুড়ে ফুটে উঠেছে সূর্যের আলোর সাতটি রং। প্রতিমায় মেটালিক এফেক্ট। রঙের প্রয়োগে সেরার শারদ আনন্দ পুরস্কার পেল আলিপুর সর্বজনীনের পুজো।
আরও পড়ুন: আজ মহানবমী, হোমাগ্নিতে দেবীর স্তুতি, নানা উপাচারে চলছে দেবীর আরাধনা
স্যানিটাইজার হাতে নিয়ে, মাস্ক পরে এক মৃৎশিল্পীর স্টুডিও দেখছেন দর্শকরা। দমদম পার্ক সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির ৭০ বছরের পুজোয় তুলে ধরা হয়েছে শিল্পের আঁতুড়ঘর। থিমের নাম, অবনমন। করোনা আবহে ক্রমশ খারাপ হচ্ছে মৃৎশিল্পীদের অবস্থা। তাই অবনমন থেকে উত্তরণের গল্প শুনিয়ে গঠন শৈলীতে সেরার শারদ আনন্দ সম্মান ছিনিয়ে নিল এই পুজো।
সমুদ্রের জল বাড়তে বাড়তে স্থলভূমি গ্রাস করে নিলে কীভাবে থাকবে মানুষ। তাকেই ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে খিদিরপুর পল্লি শারদীয়ার মণ্ডপ সজ্জায়। থিমের নাম, অভিযোজন। কল্পভাবনায় সেরার শারদ আনন্দ সম্মান ছিনিয়ে নিল এই পুজো।
আজ নবমী। হোমাগ্নিতে দেবীর স্তুতি। বনেদি বাড়িতে প্রথা মেনে নবমীর বিশেষ পুজো। কোথাও হোম, কোথাও ফল বলি। পুজো শুরুর সময় যেমন সঙ্কল্প, তেমনই পুজো শেষের প্রক্রিয়া দক্ষিণান্ত। নানা উপাচারে দেবীর আরাধনা। নবমীতেও কুমারী পুজো হয়।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে শিয়ালদা শাখায় বাতিল নবমী-দশমীর ৭ জোড়া স্পেশাল নাইট ট্রেন
এরই মাঝে বাঙালির প্রাণের উত্সবে বিষাদের সুর। কাতর প্রার্থনা, না পোহায় যেন নবমী নিশি৷ করোনা-উদ্বেগকে পিছনে ফেলে এবার মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় করেছে মানুষ। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে চলেছে দল বেঁধে ঠাকুর দেখা।
এরই মাঝে প্রতিবারের মতো মাকে আরও কিছুদিন রেখে দেওয়ার বাসনা নিয়েই বিসর্জনের প্রহর গোনা শুরু।