সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: শহরজুড়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বড় বড় পোস্টার পড়েছে। কলকাতাবাসী ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছে বড়িশা সর্বজনীনে এবার পুজোর '৩০০ কোটি'। নামেই তাদের সবচেয়ে বড় চমক। কী থাকছে তাদের এই ৩০০ কোটির পুজো মণ্ডপে? 


'৩০০ কোটি'-এর মণ্ডপের বিস্তারিত তথ্য দিলেন শিল্পী কৃষাণু পাল। তাঁর কথায়, 'এটা ইতিহাসের ওপর নির্ভর করে তৈরি হওয়া কাজ। সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের গবেষণার উপর ভিত্তি করে তৈরি মণ্ডপ। বাংলাদেশের রাজশাহী জেলায় ১৬০৫ বঙ্গাব্দে একবার পুজো হয়। রাজা কংসনারায়ণ সেই পুজোটি করেন। বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ এই পুজোয়  সর্বপ্রথম সাধারণ মানুষকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে আনুমানিক ৯ লক্ষ টাকা খরচ করা হয় ওই পুজোয়। যার আজকের বাজারমূল্য ধরে নেওয়া যায় প্রায় ৩০০ কোটি। এই কারণেই আমাদের পুজোর নাম '৩০০ কোটির পুজো'।'


রাজা কংসনারায়ণের সেই সময়ের পুজোর যে বিশেষ ধরণ, রীতি নীতি, আবহ সমস্ত কিছুকেই একটা আধুনিক রূপে তুলে ধরা হচ্ছে এবারের বড়িশা সর্বজনীনের পুজোয়। রাজা কংসনারায়ণের পুজোই এবারে উঠে আসছে '৩০০ কোটির পুজো'য়।


ঢাকে কাঠি পড়ল বলে। শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর শেষ মুহূর্তের কাউন্টডাউন। সময় যত এগিয়ে আসছে ততই তুঙ্গে উঠছে কলকাতার বিভিন্ন মণ্ডপগুলির প্রস্তুতি। সেই তালিকায় রয়েছে বড়িশা সর্বজনীনও। গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে, এই বছর ষষ্ঠী ১১ অক্টোবর, সোমবার সকাল ৬.২৩ মিনিট থেকে ৯.২৬ মিনিট মধ্যে ষষ্ঠ্যাদিকল্পারম্ভ ও ষষ্ঠী বিহিত পূজা সন্ধ্যায় দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। সপ্তমী, ১২ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকাল ৯.২৬ মিনিট মধ্যে সপ্তম্যাদিকল্পারম্ভ,নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন, সপ্তমী বিহিত পূজা। মহাষ্টমী, ১৩ অক্টোবর, বুধবার সকাল ৮.২৮ মিনিট মধ্যে মহাষ্টম্যাদিকল্পারম্ভ, মহাষ্টমী বিহিত পূজা, বীরাষ্টমী ব্রত, মহাষ্টমীর ব্রতোপবাস সন্ধিপূজা আরম্ভ রাত্রি ১১.২৩ মিনিট, বলিদান রাত্রি ১১.৪৭ মিনিট, সমাপন রাত্রি ১২.১১ মিনিট। মহানবমী, ১৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সকাল ৯.২৬ মধ্যে মহানবম্যাদিকল্পারম্ভ, মহানবমী বিহিত পূজা, দেবীর নবরাত্রি ব্রত সমাপন হবে।