অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: হরিদেবপুর ৪১ পল্লির পুজো মানেই অভিনবত্বের ছোঁয়া। এবারে তাদের থিম ‘মায়ের ছোঁয়া’। বাড়িতে মায়েদের ব্যবহৃত প্রতিটি জিনিসেরই দেখা মিলতে চলেছে ৪১ পল্লির পুজো মণ্ডপে। এবছর দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম পরিচিত এই পুজোর কমিটির ভাবনা মায়ের ছোঁয়া। মায়েদের ব্যবহার করা যাবতীয় সামগ্রী দিয়েই এই মণ্ডব সাজানো হয়েছে। কৃষ্ণনগর থেকে আসছে মায়ের মূর্তি। শাখা-পলা থেকে শুরু করে যাবতীয় মায়ের ব্য়বহৃত সামগ্রী এখানের পুজো মণ্ডব তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়াও মণ্ডব সজ্জায় স্থান পেয়েছে পিংলার অতি পরিচিত পট শিল্প। পুজো শুরুর আগেই হরিদেবপুর ৪১ পল্লির এই পুজো ঘিরে আগ্রহ বাড়ছে সাধারণের মধ্যে। 



অন্যদিকে ৫৯তম বর্ষে পর্দাপণ করল গড়িয়াহাটের হিন্দুস্তান ক্লাবের দুর্গাপুজো। এবার তাদের থিম ‘অঙ্কুর’। মাতৃমূর্তিতেও থাকছে সবুজায়নের ছোঁয়া। শুকনো গাছের সারি পেরিয়ে, পল্লবিত দেবী দুর্গার মূর্তির আভাস পাবেন দর্শনার্থীরা। আশ্বিনের আকাশে শারদ উত্‍সবের আগমনী।  পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। করোনা বিধি মেনে তৈরি হচ্ছে পুজো মণ্ডপ।  কারিগরদের ব্যস্ততার সীমান নেই। পুজোর সেই প্রস্তুতিরই এক ঝলক।


পাড়ায় পাড়ায় পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। চোরবাগান সর্বজনীনের পুজো এবার ৮৬তম বছরে। গত বছরেও প্রথম লকডাউনের পর প্রথম যারা মাঠে নেমে পড়েছিল, তারা হলেন চোরবাগান সর্বজনীন। দ্বিতীয় লকডাউনের পরও সেই ধারাকেই অব্যাহত রেখেছেন তারা। 


বাগুইআটি বন্ধুমহলে এবার শিল্পী অরুণ পালের ভাবধারা, সৃষ্টিকেই তুলে ধরা হচ্ছে মণ্ডপসজ্জায়। প্রতিমার সাজসজ্জায়ও থাকছে চমক। করোনা আবহে এই বছর দ্বিতীয় পুজো। জনসাধারণের মধ্যে সতর্কতার বার্তা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী পুজো উদ্যোক্তারাও। মা দুর্গাকে এবছর পরানো হবে সোনার মাস্ক। এক পুজো উদ্যোক্তার কথায়, 'মাকে সোনার মাস্ক পরিয়ে আমরা এই বার্তা দিতে চাইছি যে, মা নিজে যেমন মাস্ক পরেছেন তেমন আপনারা সকলেই মাস্ক পরুন। করোনার এই মহামারী থেকে নিজেকে সকলে মুক্ত রাখুন। এটাই আমাদের বার্তা।' 


আরও পড়ুন: অরুণ পালের শিল্পভাবনায় সেজে উঠছে বাগুইআটি বন্ধুমহলের পুজো মণ্ডপ


আরও পড়ুন: ৮৬তম বছরে নতুন কী দেওয়া যায় ? চরম ব্যস্ততা চোরবাগান সর্বজনীনের পুজোমণ্ডপে