চোরবাগান, সঞ্চয়ন মিত্র : পুজোর ঢাকে পড়েছে কাঠি। আশ্বিনের আকাশে শারদ উত্‍সবের আগমনী। করোনা বিধি মেনে তৈরি হচ্ছে পুজো মণ্ডপ। কারিগরদের ব্যস্ততার সীমা নেই। পুজোর সেই প্রস্তুতিরই এক ঝলক দেখা গেল চোরবাগান সর্বজনীনের (Chorbagan Sarbajanin) পুজোয়। এখানকার পুজো এবার ৮৬তম বছরে পা দিল। 


গতবছরও প্রথম লকডাউনের পর প্রথম যারা মাঠে নেমে পড়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল চোরবাগান সর্বজনীন। দ্বিতীয় লকডাউনের পরেও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে তারা। পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন কী দেওয়া যায় সবসময় সেই তাগিদ থাকে। এবার ডবল এসি ব্লগ তৈরি করা হচ্ছে। অর্থাৎ যা দিয়ে এখন ফ্ল্যাট বাড়ি তৈরি করা হয়। জলে ভাসে। খুব সহজেই কাজ করা যায়। 


একই প্রস্তুতির ঝলক দেখা গেল মাস্টারদা স্মৃতি সংঘের পুজোয় (Masterda Smriti Sangha)। এখানেও করোনা বিধি মেনে শুরু হয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। পাশ্চাত্য ঘরানাকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। 


দুর্গাপুজো বাঙালিদের কাছে শ্রেষ্ঠ উৎসব। চারিদিকে পুজোর গন্ধ উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। হাতে আর কয়েকটা দিন। তার পরেই মহালয়া। আগামী ৬ অক্টোবর রয়েছে মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে দেবীপক্ষের সূচনার দিনটিকেই মহালয়া (Mahalaya) হিসেবে উদযাপন করা হয়। পূরাণে কথিত রয়েছে, ব্রহ্মার বরে মহিষাসুর মানুষ এবং দেবতাদের কাছে অপরাজেয় হয়ে উঠেছিল। শুধুমাত্র কোনও নারীশক্তির কাছেই তার পরাজয় নিশ্চিত ছিল। ব্রহ্মার কাছ থেকে এমন বর পেয়ে দেবতাদের উপর মহিষাসুরের তাণ্ডব ক্রমশ বাড়তে থাকে। অসীম ক্ষমতার অধিকারী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গধাম থেকে বিতাড়িত করে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়। তখনই তাকে বধ করার জন্য এক নারীশক্তির জন্ম দেন ত্রিশক্তি ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বর। তাঁরা নিজেদের শক্তি দিয়ে মহামায়ারূপী যে নারীশক্তিকে তৈরি করেন, তিনিই দেবী দুর্গা। দশ হাতে দশ অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করে মহিষাসুরকে বধ করেন তিনি। হিন্দুশাস্ত্র মতে কথিত রয়েছে যে, মহালয়ার দিনই অসুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়েছিলেন দেবী দুর্গা। এই বিশেষ দিনে মহিষাসুরকে বধ করে অসুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে এবং শুভ শক্তির আরাধনায় তাই মহালয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রসঙ্গত, গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে , ষষ্ঠী, ১১ অক্টোবর, সোমবার ।