ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী ও সৌভিক মজুমদার,কলকাতা: বাম যুব নেতার মৃত্যুতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ডিওয়াইএফআই। আজ, বৃহস্পতিবার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা। ইতিমধ্যে মৃত্যুর তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। পুলিশ সূত্রে খবর, যে এলাকায় ঘটনার দিন শেষবার মইদুল ইসলাম মিদ্যাকে দেখা গিয়েছিল, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  


দলীয় নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করল DYFI। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের এজলাসে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। বাম ছাত্র যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানে পুলিশ এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ করে। বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা, DYFI নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্যা গুরুতর আহত হন।  গত সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়।  তারপরই রাজপথে আছড়ে পড়ে বাম ছাত্র যুবদের রোষ।  


পুলিশের লাঠিচার্জেই আহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে DYFI নেতার, এই অভিযোগ তুলেছে বামেরা।  এই মৃত্যুর ঘটনায় চাপের মুখে পড়েছে কলকাতা পুলিশ।  


লালবাজার সূত্রে খবর, বাম যুব নেতার মৃত্যুর তদন্তে বুধবারই ৭ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল বা SIT গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই SIT এর সদস্যরা মইদুলকে যেখানে শেষবার দেখা গিয়েছিল, সেই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষার কাজ শুরু করেছেন।  কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, নবান্ন অভিযানের দিন হগ স্ট্রিটে দেখা গিয়েছিল মইদুল ইসলাম মিদ্যাকে।  জলকামান চার্জ করার পর বিক্ষোভকারীরা ফুটপাথে উঠে দৌড়তে শুরু করেন।  সেই সময় পুরসভা ভবনের উল্টোদিকের ফুটপাথে মইদুলকে দেখা গিয়েছিল।  তারপর তিনি ভিড়ের ধাক্কায় পড়ে যান, নাকি অন্য কিছু হয়, তা এখনও স্পষ্ট নয়।  
  
সেই কারণেই ওই এলাকার সব সিসি ক্যামেরার ছবি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। যদিও বুধবারই লালবাজারের তরফে দাবি করা হয়, এখনও পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষায় দেখা যায়নি যে লাঠিচার্জের মুখে পড়েছিলেন মইদুল। কলকাতা পুলিশ সূত্রে দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃতের হাঁটুর ওপর ছড়ে যাওয়ার দাগ ছিল।  শরীরে ভিতরে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ঠিকমতো কাজ করছিল না। এই অবস্থায় মইদুলের মৃত্যুর কারণ জানতে ভিসেরা ও হিস্টোপ্যাথলজিক্যাল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে SIT।