প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: ভুয়ো আইএএস, আইপিএস এর পর এবার গ্রেফতার ভুয়ো মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধি। 


পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার বিকেলে নিউটাউন থানার পুলিশ নারকেলবাগান এলাকায় একটি ইনোভা গাড়িকে সন্দেহের বশেই দাঁড় করান কর্তব্যরত অফিসাররা। তাতেই কেল্লাফতে। হাতেনাতে পাকড়াও ৪ ভুয়ো আধিকারিক।


পুলিশ জানায়, গাড়ি নিউটাউনের নারকেল বাগানের সামনে থেকে যাচ্ছিল। ভেতরে চারজন বসেছিলেন। নিউটাউন থানার অফিসাররা সেই সময় সেখানে ডিউটি করছিলেন। গাড়িটিকে দাঁড় করান তাঁরা।


গাড়ির সামনের বোর্ডে  লাগানো ছিল চেয়ারম্যান, ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল।  কাচেও লাগানো ছিল একই স্টিকার। নীলবাতি লাগানোর জায়গা ছিল। কিন্তু খোলা ছিল। ড্যাশবোর্ডের ওপর একাধিক সংগঠনের ব্যাজ রাখা ছিল। 


তারক মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি নিজের পরিচয় দেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে। কিন্তু, আইকার্ড বা নথি দেখাতে পারেননি। সঙ্গী মদন ও রাজকুমার জানান, তাঁরা সংগঠনের সদস্য।


পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় গাড়ির চার আরোহীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। পরে চারজনকেই মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধি পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।


অন্যদিকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে বেহালার পর্ণশ্রী থেকে পার্থ দত্ত নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  


অভিযোগ, নিজেকে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার কর্মী পরিচয় দিয়ে কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন পদে চাকরি করে দেওয়ার নামে কয়েকজনের থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন এই ব্যক্তি।


পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সম্প্রতি পাঠক পাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। অভিযোগ, নিজেকে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার কর্মী পরিচয় দিয়ে কলকাতা পুলিশে চাকরি করে দেওয়ার নামে  কয়েকজনের থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।  


টাকা দিয়েও চাকরি না মেলায় গতকাল রাতে অভিযুক্তর পাঠকপাড়ার বাড়িতে যান অভিযোগকারীরা।  ওই ব্যক্তিকে আটকে রেখে তাঁরা  খবর দেন পর্ণশ্রী থানায়।  পরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।  


সম্প্রতি বেহালার পাঠক পাড়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন। সোমবার সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। 


পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা সকলেই নিউটাউন এলাকার বাসিন্দা। এরমধ্যে তারক মণ্ডল নিউটাউনের আদর্শপল্লির বাসিন্দা। তিনিই এই চক্রের মাথা বলে অভিযোগ। পুলিশের সন্দেহ নাম করে বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণা করতেন এই চারজন। একটা বড়সড় চক্র রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের।