ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: কলকাতায় ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প থেকে যা দেওয়া হয়েছিল তা কোভিশিল্ড নয়, অ্যামিকাসিন। শুক্রবার এমনটাই জানিয়ে দিল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। 


জুনের শেষ সপ্তাহে দেবাঞ্জনকাণ্ড সামনে আসতেই তোলপাড় পড়ে যায়। কসবার ভুয়ো অফিস থেকে ১২০টি ভায়াল উদ্ধার করা হয়। যার ওপরে লেখা ছিল কোভিশিল্ড। সেই লেবেল তুলতেই বেরিয়ে আসে 'অ্যামিকাসিন ৫০০' লেখা স্টিকার। 


ভায়ালে কী ছিল জানতে, নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। প্রথমে একটি নমুনা কলকাতা পুলিশের তরফে পাঠানো হয়েছিল পুণের সিরাম ইন্সটিটিউটে। জানতে চাওয়া হয়েছিল, ভায়ালে থাকা তরল কি আদৌ কোভিশিল্ড? 


গতকাল,কলকাতা পুলিশেকে পাঠানো রিপোর্টে সিরাম ইন্সটিটিউট জানিয়ে দেয়, কলকাতায় দেবাঞ্জন দেবের ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প থেকে যা দেওয়া হয়েছিল তা কোভিশিল্ড নয়। 


এরপর, ভায়ালে থাকা তরল অ্যামিকাসিন কিনা তা নিশ্চিত করতে পুলিশের তরফে নমুনা পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছে। এদিন সেই রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেখানে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভায়ালে ছিল অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ইঞ্জেকশন অ্যামিকাসিন।


জুনের শেষ সপ্তাহে দেবাঞ্জনকাণ্ড সামনে আসতেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করে বহু মানুষকে ভুয়ো ভ্যাকসিন দেন দেবাঞ্জন। ভ্যাকসিনের নামে অন্য রাসায়নিক দেওয়া হয়েছিল। ২২ জুন আইএএস পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হন দেবাঞ্জন দেব। 


সম্প্রতি, ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের মামলায় আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন সরকারি আইনজীবী। তিনি বলেন, একই চক্রে জড়িত দেবাঞ্জন দেব, সিবিআইয়ের আইনজীবী পরিচয়ে প্রতারণাকাণ্ডে অভিযুক্ত সনাতন রায়চৌধুরী ও তৃণমূল নেতা অশোক চক্রবর্তী।


সরকারি আইনজীবীর দাবি, দেবাঞ্জন দেব গ্রেফতার হওয়ার পর তালতলা থানায় তৃণমূল নেতা অশোক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে গণ স্বারকলিপি জমা পড়ে। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে পুলিশ। অভিযোগ, সেই মামলা থেকে বাঁচানোর জন্য অশোকের হয়ে তদ্বির করেছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী পরিচয়ে প্রতারণাকাণ্ডে অভিযুক্ত সনাতন রায়চৌধুরী।