কলকাতা: ফের জ্বালানির দামে রেকর্ড। কলকাতায় পেট্রোলের দাম ১০০ ছুঁইছুঁই। পাল্লা দিচ্ছে ডিজেলও। 


আজ, রবিবার, কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ২৮ পয়সা এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ২৮ পয়সা বাড়ল। এর ফলে, পেট্রোলের দাম হয়েছে লিটারে ৯৭ টাকা ১২ পয়সা। ডিজেলের দাম হয়েছে লিটারে ৯০ টাকা ৮২ পয়সা। 


রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি দু’একদিন অন্তর বাড়িয়েই চলেছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। গতকাল জ্বালানির দাম বাড়েনি। এর আগে, গত পরশু অর্থাৎ শুক্রবার বেড়েছিল জ্বালানির দাম।


সেদিন কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ২৬ পয়সা এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ২৯ পয়সা বেড়ে হয়েছিল যথাক্রমে ৯৬.৮৪ টাকা ও ৯০.৫৪ টাকা। 


তার ২ দিন আগে, অর্থাৎ, বুধবার বেড়েছিল জ্বালানির দাম। সেদিন পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ২৪ পয়সা এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ১৩ পয়সা বেড়ে হয়েছিল যথাক্রমে ৯৬ টাকা ৫৮ পয়সা ও  ৯৬ টাকা ২৫ পয়সা। 


তার দুদিন আগে, অর্থাৎ সোমবার পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ২৮ পয়সা এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ২৯ পয়সা বেড়ে যথাক্রমে হয়েছিল ৯৬ টাকা ৩৪ পয়সা ও ৯০ টাকা ১২ পয়সা। 


কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সম্প্রতি বলেছেন, মানছি জ্বালানির দামবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু একবছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে করোনার ভ্যাকসিনের জন্য। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য আমরা অর্থ সঞ্চয় করছি। 


করোনা পরিস্থিতির জেরে আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে দেশ। তার ওপর পেট্রোল-ডিজেলের এইভাবে দাম এক-দুদিন অন্তর বেড়ে চলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এর ফলে আশঙ্কিত মধ্যবিত্তরা।


করোনা আবহে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। তার ওপর পেট্রোল-ডিজেলের এইভাবে দাম বেড়ে চলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। 


অর্থনীতিবিদদের একাংশের যুক্তি, একটা স্তরে সরকারের উচিত দাম নিয়ন্ত্রণ করা। তাঁদের মতে, এটা জরুরি পণ্য। এর সঙ্গে বাজারের অন্য পণ্যের দামের ওঠানামা যুক্ত। এর দায় এড়াতে পারে না সরকার। একটা স্তরে দাম নিয়ন্ত্রমের করা উচিত।  জিএসটি আওতায় আনছে না। এটা আনলে ভাল হতো।


কয়েকদিন এই ইস্যুতে ভারসাম্য রক্ষার পরামর্শ দেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার। তিনি বলেন, সবসময় এটা বলা হয় যে, পেট্রোল-ডিজেলের মৃল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কিছু করুক।  কিন্তু আমাদের ভারস্যমাও রক্ষা করতে হবে।  সরকারের দায়িত্ব মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। আমি আশা করি, যাঁদের এই দায়িত্ব, তাঁরা ভারসাম্য রক্ষা করবেন। 


ইতিমধ্যেই তেলের দামের বোঝা বাজারের কাঁধে চাপতে শুরু করেছে।  ক্রমাগত জ্বালানির দাম বাড়ায় প্রভাব পড়ছে বাজারে। জিনিসপত্রের আগুন দামে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। খুচরো বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দামও ঊর্ধ্বমুখী। এই সাঁড়াশি চাপে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত।