কলকাতা: রাতে দুষ্কৃতীদের গ্যাং ওয়ার ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কড়েয়া থানা এলাকা। এক দুষ্কৃতীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাতে পাম অ্যাভিনিউয়ে দুই দুষ্কৃতী মহম্মদ জাভেদ ও চিনা গব্বরের মধ্যে বচসা বাধে।
অভিযোগ, এরপরই ধারাল অস্ত্র নিয়ে জাভেদের ওপর হামলা চালায় চিনা ও তার দলবল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। আহত দুষ্কৃতীকে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বাঁ হাত ও ডান পায়ে গুরুতর আঘাত রয়েছে। অভিযুক্তদের সন্ধান চলছে। এলাকায় পুলিশ পিকেট রয়েছে।
উল্লেখ্য, শ্লীলতাহানির ঘটনায় নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ানোয় প্রতিবাদীর বাড়িতে হামলা, স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। উল্টোডাঙার মুরারিপুকুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। প্রতিবাদীর অভিযোগ, শ্লীলতাহানির অভিযোগে নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ান তিনি। তাঁকে নিয়ে থানায় নালিশ জানাতে যান। অভিযোগ, সেই আক্রোশে গতকাল রাতে ৬০-৭০ জন দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে তাণ্ডব চালায়।
মারধর, এমনকি প্রতিবাদীর স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। হামলার সময়ে দুষ্কৃতীরা আশে পাশের ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে আটকে দেয় বলেও অভিযোগ। মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।
অন্যদিকে পাণ্ডবেশ্বরে যুবকের মৃত্যু ঘিরে ইতিমধ্যেই দানা বেঁধেছে রহস্য। মৃতকে তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করে নাম না করে বিজেপির দিকে ইঙ্গিত করেছেন স্থানীয় বিধায়ক। জানা গিয়েছে মৃতের নাম দিলীপ তুড়ি। স্থানীয় সূত্রে খবর, মুরগির দোকানে কাজ করতেন বছর তেইশের যুবক।
গতকাল রাতে পন্থনগর এলাকায় তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন। রাতে মৃতের বাড়িতে যান পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, এলাকা অশান্তি তৈরি করতেই দলীয় সমর্থককে খুন করা হয়েছে। বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।