কলকাতা: একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে সোমবার থেকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চলছে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরেও সমাধান সূত্র মেলেনি বলে দাবি পড়ুয়াদের। যদিও তাঁদের কয়েকটি দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে। গতকাল রাতে হাসপাতালে যান তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। কথা বলেন বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সঙ্গে। আলোচনার মাধ্যমেই রফাসূত্র মিলবে বলে আশাপ্রকাশ করেন সাংসদ। 


সূত্রের খবর, কয়েকদিন ধরেই চলছিল অশান্তি। সোমবার থেকে ফের উত্তাল হয় আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ। সুপার, ডেপুটি সুপার, অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা। হাসপাতালের দাবি কোন দাবিতে ঘেরাও? তা জানেই না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বারংবার ডাক্তারি পড়ুয়াদের লিখিতভাবে দাবি জানাতে বলা হলেও তাঁরা অনড় বলে অভিযোগ হাসপাতালের।


এ দিনই খাস কলকাতায় আরও একটি বিক্ষোভ কর্মসূচির ছবি প্রকাশ্যে আসে। ফুড ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের দাবিতে খাদ্য ভবনের সামনে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় বুধবার। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ৯৫৭ জনের প্যানেলে নাম থাকা সত্ত্বেও ১০০ জনকে নিয়োগ করা হয়। এর পর মামলা গড়ায় আদালতে। আদালত দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ দিলেও খাদ্য দফতর টালবাহানা করছে বলে বিক্ষোভকারীদের দাবি। প্রতিবাদে এদিন মির্জা গালিব স্ট্রিটে খাদ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান প্যানেলভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা। প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ অচলাবস্থা কাটাতে বৈঠক হ‌ওয়ার কথা ছিল কিন্তু সেখানে পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে প্রবেশের অনুমতি দিতে চায়নি কর্তৃপক্ষ। এর পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর।


উল্লেখ্য, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে হস্টেল চত্বর থেকে উদ্ধার হল জুনিয়র চিকিত্সকের রক্তাক্ত দেহ। খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। মৃতের নাম শেখ মোবারক হোসেন। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটে। বছর তেইশের ওই জুনিয়র চিকিত্সক সার্জারি বিভাগে হাউস স্টাফ ছিলেন।


গতকাল রাত আড়াইটে নাগাদ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ৩ নম্বর বয়েজ হস্টেলের পিছন থেকে ওই জুনিয়র চিকিত্সকের রক্তাক্ত, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা, নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু খতিয়ে দেখছে পুলিশ।