পার্থপ্রতিম ঘোষ ও ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: নামী ই- কমার্স সাইট থেকে কেনা পোশাক ফেরত দিতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হলেন এক তরুণী। গাঙ্গুলিবাগানে বাড়ি সেই তরুণীর। তাঁর দাবি, নামী ই-কমার্স সাইট থেকে ৮০০ টাকার একটি পোশাক কিনেছিলেন তিনি। পোশাক বদলাতে চাওয়ায় সংস্থার তরফে জানানো হয়, প্রাইস ট্যাগ না থাকায় তা সম্ভব নয়। অভিযোগ, ওয়েবসাইটে থাকা টোল ফ্রি নম্বরে যোগাযোগ করায় অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। সেই কথা মতো অ্যাপসও ডাউনলোড করেন সেই তরুণী। কিন্তু অ্যাপস ডাউনলোড করা মাত্র অ্যাকাউন্ট থেকে ২ দফায় ৬৫ হাজার টাকা খোয়া যায় বলে অভিযোগ।
অনলাইনে বারবার ফাঁদ পাতেন হ্যাকাররা। এর আগেও এমন অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বিপদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। সাইবার বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, 'হ্যাকাররা ওয়েবসাইটে ভুয়ো নম্বর দিয়ে দিচ্ছে। অ্যাপ ডাউনলোড করলে মোবাইল ডেটা ওদের হাতে চলে যাচ্ছে। এই ধরনের অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না।' এনিয়ে নেতাজিনগর থানার পাশাপাশি লালবাজারের ব্যাঙ্কিং প্রতারণা শাখাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নামী সংস্থার ডিস্ট্রিবিউটরশিপ নিতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হলেন দমদমের অবসর প্রাপ্ত ব্যক্তি অমিয় ঘোষ। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দমদমের সেই অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, আমুল সংস্থার ডিস্ট্রিবিউটরশিপ নেওয়ার জন্য ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বরে ফোন করলে তাঁর কাছে টাকা চাওয়া হয়। এভাবে ১০ দিনের মধ্যে ধাপে ধাপে ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
কোন পথে প্রতারকদের ফাঁদ এড়ানো যায়, তা জানিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। আমুল সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রতারণার ফাঁদ এড়াতে জনস্বার্থে সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইটে সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিষয়টি জানানো হয়েছে গুজরাতের আনন্দে আমুলের সদর দফতরে। তারা ব্যবস্থা নেবে। এনিয়ে দমদম থানাতেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
তবে এভাবে যাতে বারবার অনলাইনে বিভিন্ন লোভনীয় প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে প্রতারণার শিকার না হন কেউ, তার জন্যই সাইবার বিশেষজ্ঞরা সাবধান করে দিচ্ছেন সবাইকে।