কলকাতা: মানিকতলার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী সাধন পাণ্ডের শারীরিক অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। ৪৮ ঘণ্টা না কাটলে কিছু বলা সম্ভব নয়, জানিয়েছে হাসপাতাল। এমনটাই দাবি প্রবীণ বিধায়কের পরিবারের।
পরিবার সূত্রে খবর, এখনও ভেন্টিলেশনে রয়েছেন মানিকতলার বিধায়ক। ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। রক্তচাপ ও হার্টবিট অনিয়মিত। বাবার আরোগ্য কামনায় এদিন মন্দিরে পুজো দেন মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডে। পরে হাসপাতালে এসে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্যের বাইরে থাকেন সাধন পাণ্ডের মেয়ে। বাবার অসুস্থতার খবর পেয়েই কলকাতায় ফেরন তিনি।
সাধন পাণ্ডের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে ট্যুইট করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন, বর্ষীয়ান নেতা সাধন পাণ্ডে গভীর সঙ্কটজনক। অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। অচেতন। যন্ত্রসমর্থন চলছে। সোমবার এমআরআই হওয়ার কথা। মস্কিষ্কের অবস্থা চিকিৎসকদের কাছে স্পষ্ট নয়। ঈশ্বরের কাছে তাঁর আরোগ্য কামনা করি।
কাশি ও ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে শুক্রবার রাতে বাইপাসের ধারে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মানিকতলার তৃণমূল বিধায়ককে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরের দিকে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের একটি কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন মানিকতলার বিধায়ক। সেখানে সারা কাটিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। এর পরেই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন সাধন পাণ্ডে।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তার পরই তাঁকে প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। পরশু থেকেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে মানিকতলার বিধায়ককে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিনের বিধায়ক সাধন পাণ্ডে। এবার বিজেপির কল্যাণ চৌবেকে হারিয়ে জিতেছিলেন তিনি। এবারের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরে।
তৃণমূলের জয়লাভের প্রসঙ্গে সাধন পাণ্ডে বলেন, ‘মানুষের হয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। জনগণই আমাদের শক্তি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের শক্তি। জেতার পর আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়ল। ফুলের মালা পরতে গেলে কাঁটা সহ্য করতে হবে। গত ১০ বছরে আমরা অনেক কাজ করেছি।’ তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা তিনি। কিন্তু মাঝেমধ্যেই তাঁকে দলে বেসুরোও শুনিয়েছে।