পার্থপ্রতিম ঘোষ, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: গার্ডেনরিচে এখনও ধিকিধিকি জ্বলছে আগুন। ১০ টি গুদাম সম্পূর্ণ ভস্মীভূত। শনিবারের আগুন নেভাতে রবিবার সকালেও দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন নামাতে হয়। কীভাবে আগুন লাগল তার কারণ অনুসন্ধানে সোমবার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দমকল মন্ত্রী। খতিয়ে দেখা হবে গোডাউনগুলির অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা।


সব শেষ। ভস্মীভূত ১০টি গুদাম! গার্ডেনরিচ গোডাউনের কর্মীরা জানাচ্ছেন, 'আমরা কী করব, কী খাব, সামনে পুজো।' টানা একদিন আগুনের সঙ্গে লড়াই! রবিবার সকালেও আগুনের লেলিহান শিখা বেরিয়ে আসতে দেখা যায়, গার্ডেনরিচের তারাতলা রোডে পোর্ট ট্রাস্টের জমিতে থাকা গোডাউনের আনাচ কানাচ থেকে।


ধোঁয়ায় তখনও অস্পষ্ট গোটা এলাকা! ঝাঁঝালো গন্ধে টেকা দায়। শনিবারের আগুন নেভাতে রবিবার সকালেও দমকলের ১০ টি ইঞ্জিনকে কাজে লাগাতে হয়। কুলিংডাউন প্রোসেস শুরু হওয়ার পরে বিপুল পরিমাণ দাহ্য সামগ্রী থাকায় মাঝে মাঝেই পকেট ফায়ার দেখা যায়। 


২৪ ঘণ্টা পরেও ধ্বংসস্তুপে পরিণত চারদিক, কুলিং ডাউন প্রোসেস চালালেও সামগ্রী দাহ্য বস্তু পকেট ফায়ার দেখা যাচ্ছে, গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা। দমকল আধিকারিক জানিয়েছেন, আমরা তো চেষ্টা করছি, গ্যাস কাটার দিয়ে ভেরতে ঢোকার চেষ্টা। শনিবার সকাল ১০টায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় এবং প্রবল ধোঁয়ায় দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় শনিবার মাঝরাতে আনা হয় পোর্টেবল টাওয়ার লাইট।


মধ্যরাত পেরিয়ে গেলেও জ্বলছে, ইলেকট্রিক সার্কিট বোর্ড, বিকট গন্ধ, ঝোড়ো হাওয়ায় কাজে অসুবিধা। এ দিকে, সোমবার গার্ডেনরিচ, নিমতলা ও ডানকুনির অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দমকলের ডিজিকে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, গার্ডেনরিচে কীভাবে আগুন লাগল তার কারণ অনুসন্ধানে এদিন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দমকল মন্ত্রী। 


দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, 'প্রাথমিকভাবে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা দেখানো যায়নি, আগুন নিয়ন্ত্রণে, পকেট ফায়ার, বড় কিছু হতে পারত। যারা ভাড়া দেয় দেখা উচিত, ডিজিকে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ, ডানকুনি, নিমতলার ঘটনায় রিপোর্ট। কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত মাস ঘুরলেই প্রাণের উৎসব!তার আগে এই বিপুল ক্ষতিতে মাথায় হাত এই গোডাউনের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের।